বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জে ‘চন্ডিপুর উপজেলা’ নামে নতুন একটি উপজেলা বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবিত চন্ডিপুর উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। পরে একই দাবিতে কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সম্পাদক এবিএম নুরুল আখতার। এতে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা জেলার অন্তর্ভূক্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। যার আয়তন ৪২৬.৫২ বর্গ কি.মি.। পশ্চিম এলাকার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং পূর্বে ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কঞ্চিবাড়ি, হরিপুর, শান্তিরাম ও ছাপড়হাটি। চন্ডিপুর ইউনিয়নটি বর্তমান উপজেলার মধ্যস্থলে অবস্থিত এবং বাণিজ্যিক এলাকা।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হেডকোয়ার্টার থেকে কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের দূরত্ব ৪০ থেকে ৪৫ কি.মি.। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানভেদে তার চেয়েও দূরবর্তী হওয়ায় এই ৭টি ইউনিয়নের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা পাওয়া অত্যন্ত দুর্বিসহ হয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ১৯৮৩ সালে উল্লেখিত ৭টি ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী চন্ডিপুর ইউনিয়নকে উপজেলায় রুপান্তর করার জন্য আবেদন করা হয়। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রস্তাবিত চন্ডিপুর উপজেলা নামকরণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার স্মারক নং ৪৭০/এল.জি, তারিখ-২৮/৮/১৯৮৪। উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে একনেকে প্রস্তাবিত ‘চন্ডিপুর উপজেলা’ বাস্তবায়ন করার আবেদন অনুমোদন করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ জামিউল আনছারী লিংকন, মেহেদী মোস্তফা মাসুম, আ.ব.ম শরিয়ত উল্ল্যাহ, মোঃ ফুলমিয়া, মোঃ ফজলার রহমান সরকার, মোঃ মঞ্জিল হোসেন, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এবিএম মনজু মিয়া, মোঃ আব্দুর রশীদ, মোঃ হাসান মাসুদ খান বাদল, ছামিউল ইসলাম ফুল, আব্দুল কুদ্দুস, সাইদুল রায়হান রিপন, চামেলী বেগম, মোঃ রিপন মিয়া, ফারুক হোসেন, সুলতান আলী, ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।