সাদুল্লাপুর থেকে খোরশেদ আলমঃ সাদুল্লাপুর শহর ঘেসে বয়ে গেছে ঘাঘট নদ। এ নদের হামিন্দপুর শ্মশানঘাট নামকস্থানে শুরু হয়েছে অব্যাত ভাঙন। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে ফসলী জমি। এখন হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। এটি ভেঙে গেলে শতাধিক হেক্টর ফসলি জমিসহ তলিয়ে যেতে পারে সাদুল্লাপুর শহরটি। এমনটাই আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনের গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলার শহরের উত্তরে জামালপুর ইউনিয়নের হামিন্দপুর গ্রামের শ্মশানঘাট স্থানের ঘাঘট নদে দেখা যায় ভাঙনের ভয়াবহ চিত্র।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে কয়েক দফায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে বেড়ে যায় নদের পানি। এসব পানির স্রােতে ওইস্থানে শুরু হয় ভাঙন। বেশ কিছুদিন ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকায় ইতোমধ্যে কয়েক একর কৃষি জমি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনটি ধীরে ধীরে শহর রক্ষা বাঁধের কিনারে পোঁছাছে। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধটি। যেন কোন মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। আর এই বাঁধ ভেঙে গেলে পানির তা-পে দক্ষিণ পাশের শতাধিক হেক্টর কৃষি ফসল নষ্ট হতে পারে। একই সঙ্গে পানিতে নিমজ্জিত হতে পারে সাদুল্লাপুর শহরটিও। সম্প্রতি শ্মশান নামকস্থানে নদের ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা এনায়েতুল মোস্তাফিজ রাসেল জানান, বাধটি সম্পুর্ণ রুপে নদীগর্ভে বিলীন হলে শতাধিক হেক্টর জমির ফসল উৎপাদনে ব্যাহত ঘটবে। সেই সঙ্গে বাঁধ দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হবে।
ভাঙনের তথ্য নিশ্চিত করে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, হামিন্দপুর শ্মশান এলাকার নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নবীনেওয়াজ জানান, এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করানো হয়েছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারে।