স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জে পপি খাতুন (৩১) নামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্ত্রীর করা মামলায় স্বামী মোহাইমেনুল ইসলামকে (৩৩) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল শনিবার দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলামকে আদালতে হাজির করলে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই প্রলয় কুমার বর্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের নিজ বাসা থেকে মোহাইমেনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পপি খাতুন নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এপি. সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পপি খাতুন উপজেলার পৌর শহরের বোয়ালিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি সোহরাবের বাড়িতে আসেন। পরের দিন গত শুক্রবার দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলাম সেখানে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পপি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে এলোপাথারী মারধর করে গুরুতর জখম করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নির্যাতিত ম্যাজিস্ট্রেট পপি এর আগেও তার স্বামীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নীলফামারী সদর থানায় মামলা করেন।
এসআই প্রলয় কুমার বর্মা বলেন, মামলার পর মোহাইমেনুলকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।