সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে রিপা হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে গতকাল গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত রিপা’র চাচী শিউলী বেগম। লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে শিউলী বেগম বলেন, বিগত ৫ বছর আগে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের খন্দকার রাহেনুল ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান খন্দকারের সাথে রিপা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে আতিকুর যৌতুকের জন্য রিপা’র ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতো। আর এ যৌতুকের জন্য প্ররোচনা দিত রকি খন্দকার, আফাজ উদ্দিন খন্দকার, ইউসুফ আলী খন্দকার ও তোফা খন্দকার। মেয়ের সংসারে শান্তির জন্য বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে মাঝে-মধ্যেই নানা অংকের টাকাও দেয়া হতো। কিন্তু আতিকুরের যৌতুকের চাহিদা দিনদিন বাড়তেই থাকে। সেই সাথে যৌতুকের দাবী না মেটাতে পারলেই রিপার ওপর নেমে আসতো অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর যৌতুক লোভী আতিক উল্লেখিত ব্যক্তিদের প্ররোচণায় রিপাকে বেদম মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে রিপা গুরুতর আহত হয়। রিপা’র অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন মৃতপ্রায় রিপাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয় রিপার স্বামী। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রিপাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপাকে মৃত ঘোষণা করে। শিউলী বেগম আরো বলেন, রিপার মৃত্যুর পর আতিকুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীরা আমাদের জীবন নাশের হুমকী প্রদানসহ হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। এতে করে আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছি। তাই অবিলম্বে রিপা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মামলার এজাহারভ’ক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিপার মা ববিতা বেগম, বাবা আব্দুর রউফ মিস্ত্রি ও চাচা আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।