মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে শ্বশুর বাড়ী থেকে জামাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জিহাদ (২৪) উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, কোচাশহর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের সাহেব মিয়ার মেয়ে জেসমিন আক্তারকে (১৯) গত আড়াই মাস আগে জিহাদ বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির
লোকজনের সাথে জিহাদের মনোমালিন্য চলে আসছিল। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার জিহাদ তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে পরেরদিন গত শুক্রবার বিকেলে তার বাবা তোফাজ্জল হোসেনের সাথে মোবাইলে জিহাদের কথা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে জিহাদের বাড়িতে খবর আসে সে তার শ্বশুর বাড়িতে মারা গেছে। বিষয়টি গোবিন্দগঞ্জ থানায় জানানো হলে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের হলে পুলিশ জিহাদের
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে গত শনিবার জিহাদের মরদেহ কামারদহ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে নিয়ে আসা হলে তার একটি হাত ভাঙ্গা এবং শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ওই বাড়িতে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমায়। এ সময় জিহাদের পরিবারের সদস্যসহ এলাকার লোকজন অভিযোগ তুলে বলেন, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জিহাদকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তারা বিষয়টি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তাই এ ঘটনা পূণরায় তদন্ত করে জিহাদের হত্যার সাথে জড়িত তার শ্বশুর সাহেব মিয়াসহ তার দোসরদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান নিহত জিহাদের পরিবারের লোকজন। এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে জিহাদের শ্বশুর-শ্বাশুড়ীসহ ওই বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।