স্টাফ রিপোর্টারঃ শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাইবান্ধার হোসিয়ারী পল্লীর কারিগররা। ঘরে ঘরে দিনরাত চলছে খুটখাট শব্দ। এখানকার তৈরি শীতবস্ত্র ছড়িয়ে যায় দেশের নানা প্রান্তে। এসব পণ্য তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এ শিল্পের সাথে জড়িত কারিগররা।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচা শহর, মহিমাগঞ্জ ও শালমারা ইউনিয়ন। এই তিন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামজুড়ে গড়ে উঠেছে হোসিয়ারী শিল্প। ঘরে ঘরে দিনরাত চলছে মেশিনের খুটখাট শব্দ। কেউ চড়কায় সুতা কাটছে, কেউ বা ব্যস্ত রং করতে। সোয়েটার, মোজা, মাফলার, টুপি, শিশুদের বিভিন্ন ডিজাইনের শীতের পোষাক তৈরিতে ব্যস্ত হোসিয়ারী পল্লীর নারী-পুুরুষরা।
সোয়েটার তৈরির কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার কারিগররা। প্রতিদিন কাজ করে ৬ থেকে ৭ শ টাকা আয় করেন শ্রমিকরা। সরকারিভাবে কম সুদে ঋণ পেলে এই শিল্পের আরো প্রসার ঘটবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে এই শিল্পের উন্নয়নে সব ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানালেন বিসিকের এই কর্মকর্তা। এসব শীতবস্ত্র দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নিলে এই শিল্প আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিস্তৃত হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।