শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন

গোবিন্দগঞ্জে কারেন্ট জাল বিক্রির হিরিক উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের নিরবতা

গোবিন্দগঞ্জে কারেন্ট জাল বিক্রির হিরিক উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের নিরবতা

স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জে কারেন্ট জাল বিক্রির হিরিক পড়েছে। সরকারী আইন অমান্য করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর কার্যালয়ের ১’শ গজ দূরে গোবিন্দগঞ্জ বন্দরের জাল পট্টিতে প্রতিদিন জমজমাট ভাবে লাখ-লাখ টাকার কারেন্ট জালের ব্যবসা চললেও অজ্ঞাত কারনে স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর দেখেও না দেখার ভান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এখন বর্ষা মৌসমে উপজেলায় করতোয়া, বাঙ্গালী নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। খাল বিল ডোবা নালা পানি একাকার হয়েছে। এবং বৃষ্টির নতুন পানিতে স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ছোট-বড় ডিমওয়ালা মাছ আসছে। মাছ-শিকারিরা কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে ডিমওয়ালা পুঁটি, ট্যাংরা,কই, শিং,মাগুর, চেলা মাছ ধরছেন। এর সঙ্গে ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়াসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী কারেন্ট জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে করতোয়া নদীতে জেলেদের কারেন্ট জালে বড় মাছের পাশাপাশি ধরা পড়ছে পাঙাশ, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন মাছের পোনা আটকে মরে যাচ্ছে। সরজমিনে দেখা যায়, জেলেরা নৌকায় করে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। বেশির ভাগ জেলে রাতে মাছ শিকার করে সকালে বাজারে বিক্রি করেন। কেউ কেউ শখের বসে দিনের বেলায় মাছ শিকার করেন। এ ছাড়া বাঙ্গালী,ও করতোয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে আড়া আড়িভাবে কারেন্ট জাল ফেলে মাছ শিকার করছেন। সচেতন এলাকাবাসী জানান, কারেন্ট জাল ওজনে কম। বহনে সহজ। দাম কম, মাছ ধরতেও সুবিধা বেশি। এই জালে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ ধরা পড়ে। এ কারণে সবাই এ জাল ব্যবহারে আগ্রহী। কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধ না হলে দেশি প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বন্ধ হয়ে যাবে। সাপ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীও কমে যাবে। করতোয়া নদীপারের বাসিন্দা মোজাম্মেল বলেন, দিনের বেলায় কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ-শিকারিদের কম দেখা যায়। তাঁরা সন্ধ্যায় নদীর মাঝপথে আড়াআড়িভাবে জাল ফেলে রাখেন। ভোররাতে সেগুলো নিয়ে যান। এ কারণে কেউ কিছুই বলেন না। বাজারে নিষিদ্ধ জাল বিক্রি বন্ধ হলে কেউ আর মাছ শিকার করতে পারবেন না। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর। অজ্ঞাত করনে দেখেও না দেখার ভান করেছে। তিনি আর বলেন, গোবিন্দগঞ্জ বন্দরে প্রকাশ্যে লাখ-টাকার কারেন্ট জালের ব্যবসা চললেও বছরে ১দিন মৎস্য সপ্তাহ এলে লোক দেখানো অভিযান করে ২/৪ হাজার টাকা জরিমানা করেই অভিযান শেষ। আর সারা বছর জমজমাট ব্যবসা চলছে। অথচ মৎস্য সংরক্ষন আইনে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ১বছর থেকে ৫বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার আইন থাকলেও তা এখানে কার্যকর নেই। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, কারেন্ট জাল বিক্রি বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। কারেন্ট জাল ব্যবহার বন্ধে আমাদের জিরোটলারেন্স নিতি অব্যাহত থাকবে। অনেক সময় আমাদের চোখের আড়ালে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারেন্ট জাল বাজারে বিক্রি করছে। খোঁজ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com