বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন

গোবিন্দগঞ্জে কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা শপিং ব্যাগ তৈরীর উদ্যোগ

গোবিন্দগঞ্জে কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা শপিং ব্যাগ তৈরীর উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা, শপিং ব্যাগসহ নানা উন্নতমানের ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে ওই এলাকার কৃষক বায়েছ উদ্দিনের ছেলে মোজাম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, পরিত্যক্ত কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতায় হবে উন্নতমানের কাপড়, শপিং ব্যাগসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস। তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে এলাকার অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশ অর্জন করতে পারবে বিদেশী মুদ্রা। সেইসাথে কলাগাছের বর্জ্য থেকে তৈরি জৈব সার দেশে সারের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
জানা গেছে, এলাকার কলা চাষীরা জমি থেকে কলা কেটে নেয়ার পর কলাগাছগুলো যত্রতত্র ফেলে রাখে। এই গাছ কয়েকদিন পরই পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করে। আর এ থেকেই মোজাম উদ্দিনের চিন্তায় আসে কলাগাছ থেকে পাটের মত আঁশ উৎপাদন করা। কারণ এর আঁশ যথেষ্ট মজবুত। কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন মোজাম উদ্দিন নিজেই দীর্ঘ চেষ্টার পর তৈরি করে আঁশ উৎপাদনের একটি মেশিন। যা দিয়ে সে ইতোমধ্যে আঁশ উৎপাদন শুরু করেছে। তাকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করছে তার স্ত্রী। কিন্তু মেশিন ২৪ ঘন্টা চালাতে কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই নিজেই কলাগাছ সংগ্রহ, পরিবহন, কলাগাছের বাকল তোলা, তা মেশিনে দিয়ে আঁশ বের করা, পানিতে ধোয়া এবং রোদে শুকানোর কাজ নিজেই করে। ফলে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে না সে। সরকারিভাবে স্বল্প সুদে তাকে প্রয়োজনীয় ঋণ দেয়া হলে এই কলাগাছের উচ্ছিষ্টকে শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে বলে সে আশাবাদী। সে আরও জানায়, চীনে এই আঁশের যথেষ্ চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ঢাকার একটি কোম্পানী এই আঁশ ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং প্রতিকেজি আঁশের মূল্য ২শ’ ৩০ টাকা মূল্যে এই আঁশ বিক্রি করা যেতে পারে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, কলাগাছের বাকল থেকে আঁশ উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি এবং উৎপাদিত আঁশের নমুনা সংগ্রহ করে এর গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছি। যদি গুণগত মান বিবেচনায় আঁশের চাহিদা পাওয়া যায় তাহলে উদ্যোক্তা মোজাম উদ্দিনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধা বিসিকের সহকারি ব্যবস্থাপক রবীন রায় জানান, তার এ বিষয়টি ভাল ও ব্যতিক্রর্মী উদ্যোগ। পঁচনশীল ফেলে দেয়া কলাগাছ থেকে ফাইবার উৎপাদন করার বিষয়টি একটি উল্লেখ্য আবিস্কার।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com