গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কিশোর রিয়াদ বাবুর সংস্পর্শে আসা ৫০ জনকে হোম কোরান্টাইনে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের আলীগ্রামের শহারুল ইসলামের কিশোর পুত্র রিয়াদ বাবু (১৪) প্রায় দু' বছর আগে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। ফলে সে আংশিক স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং মাঝে মধ্যে সে অসুস্থ হয়ে পরে। যার প্রেক্ষিতে প্রায়ই তার চিকিৎসা করাতে হয়।
উক্ত কিশোরের বাবা-মা উভয়ই ঢাকার সাভার পল্লী বিদ্যু এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ১০ বছরের এক মেয়ে সহ বসবাস করতো আর মা গার্মেন্টসে এবং বাবা ঐ এলাকায় কৃষি কাজ করতো। সারাদেশে করোনা ছড়িয়ে পরলে রিয়াদের বাবা-মা ও মেয়ে সহ গত অনুমান ২০ এপ্রিল বাড়ি আসলে তারা ছেলে রিয়াদের সাথে মেলামেশা করে।
এ থেকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের ধারণা সম্ভবত বাবা-মায়ের শরীরের বহন করা করোনা ভাইরাস অসুস্থ ছেলে রিয়াদের শরীরে ছড়িয়ে পরে এর প্রেক্ষিতে রিয়াদ গত ২৪ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পরলে পরিবারের লোকজন আগের দুর্ঘটনাজনিত অসুস্থ মনে করে গত ২৫ এপ্রিল বাবা ও চাচা এ্যম্বুলেন্সে করে রিয়াদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল ১১ টায় চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দুর্ঘটনার রুগি হিসাবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তারের সন্দেহ হলে তারা রিয়াদের স্যাম্পল সংগ্রহ করার আগেই রিয়াদ সকাল ১১.৫০ এ মারা যায়। তারপরও তার স্যাম্পল সংগ্রহ শেষে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ান্তে বিকেলে মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করলে পরিবারের লোকজন মৃত রিয়াদকে নিজ বাড়িতে এনে দাফন করে।
এরপর গত ২৭ এপ্রিল রাত অনুঃ ৯.৪০ এ উক্ত রিয়াদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন, জেলা পুলিশ সুপার ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্েেসর চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে মৃত্যু রিয়াদ বাবুর সংস্পর্শে আসা ৫০ জনকে শনাক্ত করে হোম কোয়ারান্টাইনে রেখেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান।