বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন

গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মীর অবহেলায় রাস্তায় জন্ম নিল নবজাতক শিশু ॥ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ঘেরাও

গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মীর অবহেলায় রাস্তায় জন্ম নিল নবজাতক শিশু ॥ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ঘেরাও

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সন্তান প্রসবের জন্য এসে রাস্তায় প্রসব করতে বাধ্য হলেন এক মা। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত পৌনে ৮টায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে মাত্র ২শ’ গজ দুরে মধ্যপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায়। নবজাতক ভুমিষ্টকারি ওই মায়ের নাম মিষ্টি আকতার (২০)। তিনি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে আব্দুর রশিদের স্ত্রী। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন মাতৃসদন ঘেরাও করে।
নবজাতকের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, আব্দুর রশিদ তার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা উঠলে দ্রুত তাকে গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। একটি অটোবাইকে করে মিষ্টি আকতারকে নিয়ে এলে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মী তৌহিদা বেগম কোন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই অন্তসত্বা ওই মহিলাকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্বেও বিষয়টির প্রতি তৌহিদা বেগম কোন কর্ণপাত করেননি। এতে কালক্ষেপন করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে মাত্র ২শ’ গজ দুরে মধ্যপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় ব্যাথার প্রচন্ডতায় অন্তসত্ত্বা মহিলা চিৎকার শুরু করেন এবং একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দেখতে পায় রাস্তার উপর অটোবাইকে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন একজন মা। সন্তান প্রসবের পর মায়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ থাকে। এ সময় উৎসুক জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ঘেরাও করে। পরে বাধ্য হয়ে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পরবর্তী চিকিৎসা প্রদান করে।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক ওয়াজিউর রহমান র‌্যাফেল বলেন, মাতৃসদনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ ধরনের ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটিয়ে থাকেন। তারা রোগী না দেখেই ক্লিনিকগুলোতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গাইবান্ধা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদ আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সংশ্লিষ্টদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদানের আহবান জানান। তিনি বলেন করোনা আতংকে যদি কোন কর্মচারি রোগিদের সাথে এ ধরনের আচরণ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টিকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যায়িত করে নবজাতক ও তার মাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ সেকেন্দার আলী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com