বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার মা ও শিশুদের ভরসার জায়গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটি মাতৃসদন নামে বহুল পরিচিত। এখানে গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রসূতিরা চিকিৎসার জন্য আসে। কিন্তু এক বছরের অধিক সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য থাকায় গ্রামের প্রসূতিরা উক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না পেয়ে গ্রামের জমি জমা, গরু ও ছাগল বিক্রয় করে চিকিৎসার জন্য যান বেসরকারি/ প্রাইভেট ক্লিনিকে। গতকাল সন্ধা ৬টায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে দৃশ্যমান হয় একমাত্র ভিজিটর লায়লা বিনতে ফিরোজের অনুপস্থিতি। প্রতিষ্ঠানের এম. এল. এস দাইয়ানের সাক্ষাত হলে তিনি বলেন, উপজেলা মেডিকেল অফিসার রেদোয়ান ইসলাম ( অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে রোগী দেখেন এবং ৪ জন ভিজিটর (সংযুক্তি) এখানে রয়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মিতু ইসলাম মাতৃসদনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না পেয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাবেন বলে জানান। ডাক্তার থাকলে তিনি আর্থিক ক্ষতি ও সরকারি সুবিধা বঞ্চিত হতেন না বলে উল্লেখ করেন। সেই সাথে মাতৃসদনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শূন্য পদ পূরনের দাবি জানান।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ( কেন্দ্রীয় কমিটি) ও জেলা শাখার সভাপতি মিহির ঘোষ বলেন, মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য হওয়ায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আর কোন সিজার অপারেশন হয় না। বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শূন্য পদ পূরনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।