মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব দেশের উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার বিভিন্ন হাটবাজার। দিন দিন এই নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বেড়েই চলছে। উপজেলার বাজার, শপিংমল থেকে শুরু করে গ্রামের ভেতর ছোট ছোট মুদি দোকানসহ বিভিন্ন কেনাকাটায় কোনভাবেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না পলিথিনের ব্যবহার। এতে জনস্বাস্থ্যসহ মারাত্মক হুমকির মুখে জীববৈচিত্র ও পরিবেশ ।
ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়ে, উদাখাল, গজারিয় ও কঞ্চিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজার, দোকান, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পণ্য বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। একবার ব্যবহারের পর পলিথিন ব্যবহার শেষে সেগুলো ছুড়ে ফেলা হচ্ছে রাস্তা, ফুটপাত কিংবা ড্রেনে। যা পরিবেশকে ঠেলে দিচ্ছে মারাত্মক হুমকির মুখে। পলিথিনের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার, উৎপাদন, বিপণন নিষিদ্ধ হলেও এর ব্যবহার রোধে কর্তৃপক্ষের নেই নজরদারী।
জানা যায়, গত ২০০২ সালে সরকারি সিদ্ধান্তে সব ধরনের পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুত, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশে পরিবহন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। তাছাড়া উপজেলা সহ গাইবান্ধার বিভিন্ন হাট-বাজারে হাতের নাগালেই পাওয়া যায় পলিথিন। ফলে এর ব্যবহার দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। প্রতিটি খুচরা পণ্যের বিক্রেতারা বিভিন্ন সাইজের পলিথিন ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে তরকারি, মাছ, মাংস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রেতারা নিষিদ্ধ পলিথিন নির্ভর হয়ে বেচা বিক্রি করছেন।
কালির বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল মিয়া বলেন, পলিথিনের যে দাম, ক্রেতাকে পলিথিন দিতে গেলে পণ্য বিক্রি করে আমাদের লাভ কম হয়। এখন পণ্য বিক্রির জন্যই দোকানে পলিথিন রাখতে হচ্ছে।