বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শিক্ষকদের রমরমা প্রাইভেট বাণিজ্য ॥ শিক্ষার্থীদের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশংকা

গাইবান্ধায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শিক্ষকদের রমরমা প্রাইভেট বাণিজ্য ॥ শিক্ষার্থীদের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশংকা

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা সংক্রমণেরকালে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে গাইবান্ধায় শিক্ষকদের প্রাইভেট বাণিজ্য রমরমাভাবে চলছে। এক শ্রেণির শিক্ষক বাড়িতে রীতিমত বিদ্যালয় খুলে বসেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। এতে একদিকে যেমন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে তেমনি স্বল্প আয়ের অভিভাবকরা করোনাজনিত এই আর্থিক সংকটের সময়ে সন্তানের প্রাইভেটের অর্থ যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গত ১৭ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৬ মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্কুল-কলেজের এক শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষাদানের নামে বাড়িতে বাড়িতে প্রাইভেট বাণিজ্য শুরু করেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো তাগিদ নেই। তারা ব্যাচ হিসেবে তাদের ছোট ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছে। এত প্রতি ব্যাচে ১৮ থেকে ২০ জন করে ছাত্রছাত্রী অংশ নিচ্ছে।
এব্যাপারে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, এক শ্রেণির শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছে। এমনকি অনেক শিক্ষক ফোন করে ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে উৎসাহিত করছে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় ভয়ে শিক্ষকদের বাড়ি বা ভাড়া করা রুমে গিয়ে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে শহরের সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। শুধু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকরাও প্রাইভেট বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। সচেতন অভিভাবক মনে করেন সরকারি নির্দেশ উপেক্ষিত হওয়ায় গোপনে প্রশাসনিক তৎপরতার মাধ্যমে এই প্রবণতা বন্ধ করা একান্ত অপরিহার্য।
এব্যাপারে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাজহার-উল মান্নান বলেন, করোনাকালে যেখানে শিশুদের স্কুলে আসতে দেয়া হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে গোপনে বাড়ি বাড়ি সেই একই কাজ যখন করা হচ্ছে, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া প্রাইভেট পড়ানোও সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং প্রশাসনের তৎপর হওয়া একান্ত আবশ্যক।
বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ ফেরদৌস ইসলাম মঞ্জু বলেন, এটা স্বাস্থ্যবিধির চরম লংঘন। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে। এব্যাপারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন হওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com