শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুস্থ সুন্দর শান্তি ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজ বিনির্মানের লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে মাদকমুক্ত পরিবার ও সমাজ গঠন এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গাইবান্ধায় জিইউকে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। জেলা শহরের ভিএইড রোডের কালিবাড়িপাড়ায় বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি গাইবান্ধায় এই প্রথম মাদক নিরাময় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। গণ উন্নয়ন কেন্দ্র তাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করেন।
এ উপলক্ষে ভিএইড রোড কালিবাড়ি মন্দির চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান এম. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি এবং অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ময়নুল হক, সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ, পৌর মেয়র অ্যাডঃ শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসূন কুমার চক্রবর্ত্তী, সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক প্রামানিক, চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাকছুদার রহমান শাহান, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, রণজিৎ বকসী সূর্য্য, মাদক নিরাময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ শাহরিয়ার ফারুক, মাদক নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের পরিদর্শক আনোয়ারুল হাবিব, আব্দুর রউফ প্রমুখ।
আলোচনাকালে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে প্রতিটি পরিবারের পিতা-মাতার উচিত তাদের সন্তানদের জীবনাচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখা। তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশ জাতি সমাজ ও পরিবারের কল্যাণে একটি ভালো কাজ করবো এই চেতনাকে জাগ্রত করা।
শেষে ফিতা কেটে কালিমন্দির সম্মুখস্থ ১০ শয্যা বিশিষ্ট মাদক নিরাময় কেন্দ্রের অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র এক্ষেত্রে বৃহৎ পরিসরে অধিকতর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর গিদারী ইউনিয়নে সংস্থার নিজস্ব ২ একর জায়গায় অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কমপ্লেক্স গড়ে তুলে সেখানে মাদকাসক্তদের চিকিৎসার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা থাকবে।