শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধায় বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা

গাইবান্ধায় বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা গাইবান্ধায় বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা গাইবান্ধা জেলায় এবার ইরি-বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে শুরু হয়েছে পাকা ধান ঘরে তোলার ব্যস্ততা। জেলায় এবার ইরি-বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮২ হাজার মেট্রিক টন। সরেজমিনে গতকাল রোববার গাইবান্ধার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে কৃষকদের ব্যস্ততার এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় এক লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করেছে কৃষকরা। এবার নানা প্রতিকূল আবহাওয়া পেরিয়েও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি প্রায় ২০ থেকে ২২ মণ (মোটা ধান) ফলন হয়েছে। সম্প্রতি ধান কাটা-মাড়াই শুরু করা হয়েছে। এখনো ৭০ ভাগ ধান মাঠে রয়েছে। বর্তমানে এ ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। কারণ আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ৮০ ভাগ ধান পাকা মাত্রই কাটছে কৃষকরা। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।
শ্রমিক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত বছর বিঘাপ্রতি ধান কাটতে খরচ হয়েছিল ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ বছর করোনার প্রভাবে স্থানীয় শ্রমিকরা বাড়িতে থাকায় পারিশ্রমিক কম। যা প্রতিবিঘা ১৮’শ থেকে ২ হাজার টাকা।
কৃষক মেছের উদ্দিন সরকার জানান, এবার বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় এক লাখ ২৮ হাজার হেক্টর ধান আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন, গাইবান্ধা জেলায় সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে বোরো ধান ও মিলারদের নিকট থেকে চাল ক্রয় শুরু হয়েছে। এ বছরে কৃষকদের কাছ থেকে ১৭ হাজার ১৪২ মেট্রিক টন ধান ও মিলারদের নিকট থেকে সিদ্ধ চাল ২৩ হাজার ৬৮৩ মেট্রিক টন এবং এক হাজার ৬২৮ মেট্রিক টন আতব চাল ক্রয় করা হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com