বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ রমজানের শুরুতেই কাঁচা বাজারে নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বেগুনের গায়ে যেন আগুন লেগেছে। বেগুনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শসার দামও। রোজায় ইফতারের প্রধান উপকরণ বেগুন ও শশার দাম বেড়েছে গাইবান্ধার বিভিন্ন হাট-বাজারে; প্রতিকেজি বেগুন ৪০ ও প্রতিকেজি শসা ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে প্রতিকেজি বেগুন ১০ টাকা ও প্রতিকেজি শসা ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। হঠাৎ অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ক্ষুব্ধ ক্রেতাদের প্রশ্ন এই দুই দিনে দেশে কী এমন হলো যার কারণে এই চারগুণ দামে বেগুন কিনতে হচ্ছে। আরেক ক্রেতা বলেন, ভাই বেগুন কেনা বন্ধ করে দেন, দেখবেন দাম এমনিতেই কমে যাবে। রোজা হচ্ছে সংযমের মাস। অথচ আমরা খাবারের বেলায় অসংযমী হয়ে উঠি। দোষ ভাই আমাদেরও আছে।
জেলার সাদুল্লাপুর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান মাসে ইফতারির উপকরণে বেগুন ও শশার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এগুলোর দাম বেড়েছে। গতকাল সকালে গাইবান্ধার কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু বেগুন ও শসার দাম বেড়েছে।
গাইবান্ধা শহরের সুখনগর এলাকার চাকরিজীবী আবদুস সামাদ বলেন, “গতকাল সকালে শহরের হকার্স মার্কেটে গিয়ে বাজার করলাম। সব সবজির মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। কিন্তু এক কেজি বেগুন ৪০ টাকা ও এককেজি শসা ৩০ টাকায় কিনলাম।”
শহরের পিকে বিশ্বাস রোডের সমাজকর্মী জিয়াউল হক বলেন, “কোনো জিনিসের দাম বৃদ্ধির কারণ নেই। সরকার পরিবহন বন্ধ রেখেছে। কিন্তু মালবাহী পরিবহন চলছে। তাই দাম বাড়ানোর তো প্রশ্নই উঠে না।”
রমজান ও করোনাভাইরাসের দোহাই দিয়ে যাতে কেউ দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাইবান্ধা জেলা কার্যালরয়র সহকারী পরিচালক আবদুস ছালাম তালুকদার বলেন, “প্রতিদিনই বাজার মনিটর করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তাদেরকে বলা হচ্ছে, কোনো জিনিসের দাম যাতে না বাড়ানো হয়। তারপরও কেউ দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।