শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় বিয়ের ভরা মৌসুমে বিয়ের সংখ্যা আনুষ্ঠানিকতা ও ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে

গাইবান্ধায় বিয়ের ভরা মৌসুমে বিয়ের সংখ্যা আনুষ্ঠানিকতা ও ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় ঈদুল ফিতর থেকে ঈদ-উল আজহা পর্যন্ত এই তিনমাস মাস গাইবান্ধায় বিয়ের ভরা মৌসুম। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এই প্রকোপে বিয়েসাদি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সেইসাথে এই সময় যে বিয়েগুলো হচ্ছে তাতে বিয়ের আগে গায়ে হলুদ, আর্শিবাদ পর্ব, বৌভাতসহ নানা বিয়ের চিরায়ত সেই আনুষ্ঠানিকতা আর হচ্ছে না। তবে এটাও ঠিক যে এ বাবদ বর ও কনে পক্ষের বিয়ে সংক্রান্ত যে ব্যয় হতো উভয় পক্ষের সে ব্যয় ভারও কমেছে।
এব্যাপারে জেলা শহরের পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজী আব্দুল গোফ্ফার ও সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের কাজী আব্দুল খালেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, জেলায় ঈদ পর্বের এই তিনমাস তাদের নির্ধারিত এলাকায় প্রতিমাসে আগে যেখানে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০টি বিয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা এবং ধুমধামের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হতো। সেখানে করোনা ভাইরাসের এই সময়টিতে প্রতিমাসে গড়ে ৭টি থেকে ৮টির বেশী বিয়ে রেজিষ্ট্রি হয়নি।
করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগের মধ্যেও কিভাবে বিয়েসাদি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এব্যাপারে বিয়ের রেজিস্টার কাজী ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বর ও কনে উভয় পক্ষ মিলে ১০ থেকে ১২ জন মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রেজিষ্ট্রি করে ন্যুনতম খাওয়ার পর্বের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া এই বিয়েগুলো সম্পন্ন হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের এই সময়টিতে তাদের মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন এমন কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্য সময় স্বাভাবিকভাবে বিয়ে দিলে নানা আনুষ্ঠানিকতায় মেয়ে এবং ছেলে উভয় পক্ষেরই অনেক ব্যয় হতো। কিন্তু সীমিত পর্যায়ে এই বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে গিয়ে বর কনে উভয় পক্ষেরই বিয়ে বাবদ ব্যয় অপেক্ষাকৃত অনেকটাই কমে গেছে। তদুপরি বৌভাতসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতায় দাওয়াতে অংশ নিতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের বিয়ের উপহার প্রদান বাবদ ব্যয়ও এই করোনা ভাইরাসের কারণে কমে গেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com