শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, পানিতে ডুবে ও বাসের ধাক্কায় শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- বেনজুর রহমান (৫০), হাবিব মিয়া (১২) ও মিলন ব্যাপারি (৩০)। গত ২৬ মে বিকেল ও দুপুরে সাদুল্লাপুর ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গত সোমবার বিকেলের দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের বুজরুক মোজাহিদপুর গ্রামের বেনজুর রহমান তার বসতঘরের টিনের চালায় উঠে আম পাড়ছিলেন। এ সময় ঘরের ওপরে থাকা বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মারা যান।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নওশা মিয়া। এদিকে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হাবিব মিয়াসহ তার আরও তিন বন্ধু শৈশবের দুরন্তপনায় ওই ব্রিজ থেকে পানিতে লাফ দিয়ে খেলছিল। এরই মধ্যে হাবিব মিয়া সেখানকার নলেয়া নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। এ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল এসে অনুসন্ধান শুরু করেন। এ সময় ঘটনা স্থলের কিছু দুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইদিলপুর ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, পানিতে লাফ দিয়ে খেলতে গিয়ে হাবিব মিয়া নামের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক।
অপরদিকে, গত সোমবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া থেকে দুইজন যাত্রী নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন রিকশা চালক মিলন ব্যাপারি। পথিমধ্যে পেকস চক্ষু হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে রংপুর থেকে শেরপুরগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস বাস পেছন থেকে রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাটি উল্টে গিয়ে যাত্রীসহ চালক মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। এসময় পেছনে থাকা রংপুর থেকে রাজশাহীগামী পথের সাথী বাসটি ওভারটেকিং করতে গিয়ে রিকশাচালক মিলনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মিলন ব্যাপারি নিহত হন। পরে আহত দুই যাত্রী গোলাপবাগ মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার শামছুল হক ও আশরাফুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, বাস দুইটি আটক করে হাইওয়ে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ঘটনার পরপরই চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।