বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় দ্বিতীয় দফায় আবারও বন্যাঃ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি

গাইবান্ধায় দ্বিতীয় দফায় আবারও বন্যাঃ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টাঃ গত তিনদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় সবকটি নদীর পানি দ্বিতীয় দফায় আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হচ্ছে এবং জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলোতে আবারও পানি উঠতে শুরু করেছে।
বিশেষ করে করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ি উপজেলায় অনেকটা বৃদ্ধি পেয়ে অনেক নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। প্রথম দফার বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বসতবাড়ি ও সড়ক গুলোতে আবার বন্যার পানি উঠতে শুরু করায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে বন্যার পানিতে আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। এতে আমন বীজের অভাবে বন্যা পরবর্তী আমন চাষ বিঘিœত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি ফের বৃদ্ধি পেয়েছে । সেই সাথে পাল্লাদিয়ে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার বন্যার পানি অনেকটা কমে যাওয়ায় আশ্রয়ন কেন্দ্র, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাঁধে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছিল। গত বৃহস্পতিবার রাত হতে টানা অবিরাম বর্ষন এবং উজানের ঢলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর পানি অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে চরবাসি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমা ছুইছুই করছে। বেলকা চরের কৃষক লাল মিয়া জানান তার উঠানে হাটু পানি উঠছে। কথা হয় লালচামার গ্রামের ডাঃ শরিফুল ইসলামের সঙ্গে টানা অবিরাম বর্ষন কয়েকদিন থেকে ব্যাপকহারে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । ঘরে বন্যার পানি উঠায় অতি কষ্টে জীবন যাপন করতেছি। কাপাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান পানি বাড়তে থাকায় চরাঞ্চলের পরিবারগুলো ফের পানিবন্ধি হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার কারনে চরবাসির নিদারুন কষ্ট হবে এবং বাদামের চরে আবাসন প্রকল্পে কয়েকটি ঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান অবিরাম বর্ষনের কারনে ফের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৫০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com