বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় চাঞ্চল্যকর ইমাম হত্যার প্রায় ১ বছর পর হত্যা মামলার ৩ আসামীর দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর 

গাইবান্ধায় চাঞ্চল্যকর ইমাম হত্যার প্রায় ১ বছর পর হত্যা মামলার ৩ আসামীর দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর 

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর ইমাম মওঃ আবুল কালাম আজাদ হত্যার প্রায় ১ বছর পর হত্যা মামলার ৩ আসামীর ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে সাদুল্লাপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপন্দ্রে নাথ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাইবান্ধা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ হারিসুল ইসলাম জানান, আসামীরা গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান। তিনি আরও জানান, পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে তাদের প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। গতকাল বুধবার বিচারক শুনানী শেষে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামী ৩ জন হলো, পলাশবাড়ী উপজেলা উদয়সাগর গ্রামের মোজা মিয়ার ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৩), একই উপজেলার জামালপুর গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৩১) ও আমবাড়ী গ্রামের সাবু মিয়ার শরিফুল ইসলাম (৩১)। নিহত মও. আবুল কালাম আজাদ সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের মহিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত. ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার দূর্গাপুর গাবেরদিঘি এলাকার জামে মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. রেজাউল করিম জানান, বিগত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে মও. আবুল কালাম অভাবে পরে তার বন্ধু দাদন ব্যবসায়ী শাহারুলের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন। পরে তিনি সেই টাকা পরিশোধও করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শাহারুল তাকে জানান ওই ধারের টাকার সুদ তাকে দিতে হবে। কিন্তু তিনি সুদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর জের ধরে বিগত ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর গাবেরদীঘি এলাকার জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়াতে যাবার পথে ইমাম আবুল কালামকে তুলে নিয়ে যায় শাহারুল, শরিফুল, মিলন ও তাদের লোকজন। পরদিন ১৯ অক্টোবর সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের গোবিন্দরায় দেবত্তর গ্রামের একটি আম গাছ থেকে ইমাম আবুল কালামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাঃ লাবনী বেওয়া বাদি ওই দিনেই সাদুল্লাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য গাইবান্ধা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাঠানো হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com