শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় কোরবানির জন্য ১ লাখ ৯৬ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত

গাইবান্ধায় কোরবানির জন্য ১ লাখ ৯৬ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানি উপলক্ষে গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৭টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলায় চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩০৫টি পশু।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। উল্লিখিত কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষ-ছাগল ও ভেড়া বেচাকেনার জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ৪১টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি স্থায়ী ও ১৫টি অস্থায়ী হাট রয়েছে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে আরও বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মে পশু কেনা-বেচা হবে। তবে এখনও জমে ওঠেনি এই হাটগুলো।
সম্প্রতি গাইবান্ধার লক্ষ্মীপুর, দাড়িয়াপুর, সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট, মাঠেরহাট ভরতখালিসহ আরও বিভিন্ন হাটে দেখা যায়-কোরবানি পশু কেনাবেচার জন্য নিরাপত্তার বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ, মহিষ, গাভি, ছাগল ও ভেড়া কেনা-বেচা হবে। আর কয়েকদিন পরই পুরোদমে জমে ওঠবে বলে হাট ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ সহকারী (ফডার) আব্দুল লতিফ বলেন, এ বছর কোরবানি উপলক্ষ্যে জেলায় ১৭ হাজার ৩৬৮ খামারে ষাঁড় ৩৮ হাজার ৫৩২, বলদ ৩ হাজার ২৯৫, গাভি ২৪ হাজার ৪১, মহিষ ১৭৩, ছাগল ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৩ ও ভেড়া ১০ হাজার ৫৭৬টি মজুদ আছে।
সম্প্রতি সম্ভাব্য ক্রেতা-বিক্রেতারা জানায়- অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী প্রত্যোকটি পশুরহাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে তারা ঠকাবার শঙ্কায় ভুগছেন। হাটে আসা দালালরা মালিকদের সঙ্গে রফাদফা করে পশু হাতে নেন। ওই দামের চেয়ে বেশি বিক্রিত টাকা দালালদের পকেটে ঢুকছে বলে একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ। এ থেকে পরিত্রাণ চান তারা।
খামারি এনশাদ আলী বেলন, আসন্ন ঈদে আমার খামারে কোরবানিযোগ্য ৯টি গরু রয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে। তবে এবার হাটে দাম ভালো থাকলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ জেলায় চাহিদা পূরণ রেখেও অতিরিক্ত ৬৯ হাজার ৯৭২টি কুরবানি পশু মজুদ আছে। আশা করছি, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গা এসব পশুর চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিক রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিক্রয়যোগ্য হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল দল প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে দুর্বৃত্তরা জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা থাকবে।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com