বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধায় আটার রুটির বাজার ॥ সর্বশ্রেণির মানুষের এখন অত্যান্ত জনপ্রিয় খাবার

গাইবান্ধায় আটার রুটির বাজার ॥ সর্বশ্রেণির মানুষের এখন অত্যান্ত জনপ্রিয় খাবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলা শহরের পুরাতন বাজারের ভেতরে উত্তর পাশে গড়ে উঠেছে আটার রুটির বাজার। এখানে রয়েছে পাশাপাশি ছোট ছোট ঘরে ৭টি রুটির দোকান। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এক নাগারে চলতে থাকে এই দোকানগুলো। একটানা প্রায় ২০ ঘন্টা গ্যাসের চুলায় গরম গরম রুটি ভেজে দেয়া হয় গ্রাহকদের।
অপরিচ্ছন্ন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এ সমস্ত রুটির দোকান গড়ে উঠলেও প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন রুটির প্রচুর বেচাকেনা চলে। এছাড়া এই রুটির ক্রেতাও শুধু দরিদ্র মানুষরাই নয়, বরং সর্বশ্রেণির পেশার মানুষরাই এখানে রুটি কিনতে আসে। বিশেষ করে দরিদ্র শ্রমজীবি মানুষরা দোকানের বেঞ্চে বসেই রুটি খেয়ে তাদের ক্ষুধা মেটায়। এছাড়াও উচ্চ বিত্তের এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এখান থেকে কিনে নিয়েই বাড়িতে আহারপর্ব সারে। আবার অনেকেই ভোর ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে আর রাত ৯টা থেকে ১২টার পর এখানে এসে দোকানের পাশে দাড়িয়েই রুটি খেয়ে আহারপর্ব সারে।
সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের পূর্বকোমরনই মিয়াপাড়া গ্রামের রুটি বিক্রেতা শফিকুল ইসলামের কর্মচারি আমির হোসেনের সাথে কথা বলে জানা গেল, তার দোকানে প্রতিদিন ২০ ঘন্টায় ৩০ থেকে ৩৫ কেজি আটার রুটি বিক্রি হয়। একই গ্রামের ইকরামুল ও সিয়াম জানাল, তাদের দোকানে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ কেজি আটার রুটি বিক্রি হয়। রুটি বিক্রেতা গোদারহাটের মন্টু মিয়া ও ধানঘড়া গ্রামের সাহারুলও জানালো একই কথা। ৭টি দোকানের বিক্রির গড় হিসেব করলে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ মণ আটার রুটি এখানে বেচাকেনা হয়।
রুটি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেল, প্রতিটি বড় রুটি ১০ টাকা এবং ছোট রুটি ৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়। আবার সরিষার তেলে ভাজা রুটি একই দামে পাওয়া যায়। রুটির সাথে গুড় এবং সরিষার তেলে মাখা পিয়াজ ও কাচা মরিচ ফ্রিতে দেয়া হয়। এছাড়াও প্রতিটি রুটির দোকানে রুটির সাথে দেয়া হয় ৫ টাকায় সরিষা তেলে ভাজা ঝাল আলু ছানা, ৫ টাকায় অ্যাংকর ডাল ৫ টাকায় সবজি এবং ডিমের মামলেট ভেজে দেয়া হয় ১৫ টাকায়।
এই রুটির বাজারের চাহিদা ও সাফল্যে শহরের নতুন বাজার, হকার্স মার্কেট ও কাচারী বাজারেও গড়ে উঠেছে এমন নতুন নতুন রুটির দোকান। এ দোকানগুলোতেও বিক্রি নেহায়েত কম নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট ছোট দোকানে এই রুটি বিক্রি করেই প্রতিটি রুটি বিক্রেতা দরিদ্র অবস্থা থেকে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং হয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। সেইসাথে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও জনগোষ্ঠী অতি সস্তায় দৈনিক আহার সম্পন্ন করার ব্যবস্থাও তারা করছেন এই রুটির ব্যবসা করেই।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com