বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ব্রহ্মপুত্র নদের বুক চিরে নিমার্ণ হচ্ছে বধ্যভূমি রক্ষা প্রকল্পের আধা কিলোমিটার দীর্ঘ ক্রস বাঁধ। আর এ বাঁধকে কেন্দ্র করে নদের পাড়ে দর্শনার্থীদের প্রচ- ভিড়। ঈদের আনন্দসহ এলাকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে গাইবান্ধাসহ আশপাশের উপজেলার ও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এক সময়ের উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার তিস্তামুখ রেলওয়ে ফেরিঘাট, ব্রহ্মপুত্রের পারে অবস্থিত ৭১-এর বধ্যভূমি, জেগে ওঠা চর-দ্বীপচরে। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী দর্শণার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে এসব এলাকা।
ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদে বধ্যভূমি রক্ষা প্রকল্পের ক্রসবাঁধটি দীর্ঘ ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ১০০ ফুট এবং মাটির তলদেশ থেকে বাঁধটির উচ্চতা প্রায় ৩৫ ফুট। যা কি না দুইতলা ভবনের মত উঁচু। সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ভ্রমণ পিপাসুরা বেছে নিয়েছেন নতুন এ বাঁধকে। নদের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের দ্বিতল প্রশাসনিক ভবন ও ইউএনও’র বাসভবন। পাশেই তিস্তামুখঘাট ও বধ্যভূমি এলাকা। নদীভাঙন থেকে রক্ষায় নীলকুঠি এলাকা থেকে ৭১-এর বধ্যভূমি এলাকার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় বাঁধা হয়েছে সিসি ব্লক দিয়ে। দর্শনার্থীদের বসার জন্য মাঝে মধ্যে তৈরি করা হয়েছে বেঞ্চ। ইট-পাথরে বন্দি নাগরিক জীবনে প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে ঈদের ছুটিতে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ব্রহ্মপুত্রের পাড়। নদের বুকে জেগে ওঠা বালুচরও ভ্রমণপিপাসুদের আরেক ঠিকানা। বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে সবাই ছুটে আসেন এখানে। প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে নির্মল আনন্দের পরশ পেতে নদী পাড়ে বসে আড্ডা, সেলফি তোলা।
নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর পর ক্রসবাঁধে দাঁড়িয়ে সাঘাটা উপজেলার হাটভরতখালীর চাল ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে আর চরে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা। এখানে রয়েছে প্রকৃতির বিশালতা। নদীর বুক চিরে নির্মিত হচ্ছে ক্রসবাঁধ যা আমাদের নজর কেড়েছে। পুরোপুরিভাবে বাঁধটি নিমার্ণ হলে আগামী কোরবানি ঈদে এখানে মানুষের ঢল নামবে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে।
কিছুটা দূরেই দাঁড়িয়ে অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করছিলেন গজারিয়া গ্রামের তরুণী আফরুজা আক্তার। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজশাহী থেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। নির্মল বাতাসে বুক ভরে শ্বাস নেওয়ার জন্য।