বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

কিশোরগাড়ীর ব্রীজ মরণ ফাঁদ

কিশোরগাড়ীর ব্রীজ মরণ ফাঁদ

স্টাফ রিপোর্টারঃ পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাফর মুংলিশপুর ঘাটের ছক আটা ধর’ নামক স্থানে নির্মিত ব্রিজটি সংস্কারের অভাবে একপাশের ইটের গাঁথুনি-মাটি ধসে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেখানে নিচে বাঁশের খুঁটি ও ওপরে বাঁশ বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দুপাশের দশ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হোসেনপুর ইউনিয়েনের আমবাগান এলাকায় প্রায় ১৫ বছর পূর্বে আখ ক্রয় কেন্দ্র বসিয়ে চাষীদের কাছ থেকে আখ ক্রয় করা হতো। ওই সময়ে জাফর মুংলিশপুর এলাকায় চাষীদের আখ সেন্টারে যাতায়াতের সুবিধার্থে ছক আটা ধর এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করে আখ ক্রয় কর্তৃপক্ষ। সময়ের ব্যবধানে ইট আর মাটি ধসে ব্রিজটির একাংশ ভেঙ্গে যায়। এরপর দীর্ঘদিনেও ব্রিজটি সংস্কার না হওয়ায় বাঁশের খুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও পায়ে হেঁটে চলাচল করছে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, গনকপাড়া, হাসানখোর, রামচন্দ্রপুর, জাইতরসহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ।
জাফর-মুংলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক ছাইদুর রহমান বলেন, ব্রিজটির সংস্কারের অভাবে ভোগান্তির শেষ নেই। বিকল্প সড়ক না থাকায় এ পথেই জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নিয়ে অতি কষ্টে চলাচল করছে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
নুরুল ইসলাম নামের একজন কৃষক বলেন, বাঁশের চাটাই বিছানো ব্রিজ দিয়ে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, মালবোঝাই ভ্যানসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ফসল বিক্রয়ের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে হাটবাজারে যেতে হয়। এই ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করলে আমাদের কষ্ট লাঘব হবে।
কিশোরগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মর্জিনা বেগম বলেন, এ পথে দুপাশের অন্তত দশ গ্রামের আট সহস্রাধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। বড় ধরনের জানমালের ক্ষতি এড়াতে দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার কিংবা নতুন ব্রিজ নির্মাণ সময়ের দাবি।
কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী। এতে এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকায় গতি আসবে।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে ব্রিজ নির্মাণ বা সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com