শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০১ অপরাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সাঘাটায় আবাও নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বাড়ছে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা। এবার যমুনা নদীর ভাঙ্গন ছাড়াও কাটাখালি নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হতে চলেছে ৪ গ্রামের বসতবাড়ী ও ফসলী জমি। গ্রাম গুলো হচ্ছে রামনগর, কচুয়া, চন্দনপাঠ ও সতিতলা। ইতিমধ্যে শত শত একর জমি ভেঙ্গে গেছে নদী গর্ভে। আর ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে শতাধিক পরিবার। এসব পরিবারের লোকজন ভিটামাটি ও বসতবাড়ী হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। কিন্তু তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারী কোন সহায়তা।
ভুক্তভোগীরা জানান, অনেক পরিবার মাটির মায়া ছাড়তে পারে নি। কেউবা ৩ বার, কেউ ৪ বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েও নদীর পাশেই কোন মতে ঘর উঠিয়ে বসবাস করছে। এমনি বার বার নদী ভাঙ্গনের শিকার উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের বৃদ্ধ ফইম উদ্দিন। তিনি গত ৭ বছরে ৩ বার ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়েছেন। এবারও তার মাথা গোঁজার ঠাঁই ও ভিটেমাটি ভাঙ্গনের হুমকীতে রয়েছে। কচুয়া ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী জানান, এ পর্যন্ত নদীতে চলেগেছে কচুয়া, রামনগর, চন্দনপাঠ ও সতিতলা গ্রামের শতাধিক পরিবারের ভিটেমাটি। সাম্প্রতিক সময়ে ভাঙ্গনের সম্মুখিন হয়ে পড়েছে আরও প্রায় ৩০টি পরিবার। রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ও কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আকন্দ জানান, কাটাখালি নদীর অব্যহত ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো ভিটেমাটি হারিয়ে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছেন। অল্প দিনের ব্যবধানে ঘরবাড়ি ও ভিটেমাটি হারিয়েছেন কচুয়া গ্রামের আব্দুস ছামাদ, আসাব্বর আলী, মিজানুর রহমান, শুকানুসহ রামনগর গ্রামের আবুল হোসেন, মুনসুর আলী, ময়েজ উদ্দিনসহ প্রায় ১শ’ পরিবার।
কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান জানান, উক্ত গ্রাম গুলোর নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার জন্য গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ভাঙ্গন প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা করা হয় নি।
সাঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিঠুন কুন্ডু জানান, ইতিমধ্যে নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবার গুলোর তালিকা সংগ্রহ করে সরকারী সহায়তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ হয়েছে।