সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর কুরুয়াবাদা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী আল আমিন মিয়ার উত্ত্যক্তের কারণে প্রায় ১৭ দিন ধরে মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ রয়েছে এক ছাত্রীর। একইসঙ্গে আল আমিনের অব্যাহত হুমকির কারণে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না অভিভাবক ও মেয়েটিকে।
বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে একাধিক অভিযোগও দিয়েছিলেন মেয়েটি। কোনো সুরাহা না পেয়ে ইউএনও অফিসে অভিযোগ দেন সঠিক বিচার পাবার আশায়।
সম্প্রতি সময়ে তাকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) নানা কথা ছড়িয়ে পড়ায় মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে আবেদন করেও নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না তার পরিবারের লোকজন।
ভুক্তভোগী মেয়েটির মামা আমজাদ হোসেন বলেন, ভাগ্নি আমাদের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। বর্তমান সে ওই মাদরাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ছে। ঘটনার দিন ভাগ্নীর মোবাইল ফোনটি আমাদের কাছে ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে অফিস সহকারী মোঃ আল আমিন মিয়ার মোবাইল নম্বর থেকে একটি এসএমএস আসে তার ফোনে। এসএমএসটি ছিল- ও জান কথা বলো না কেন গো। পরে বিষয়টি নিয়ে ভাগ্নীর সঙ্গে কথা বলি। নিজ মাদরাসার অফিস সহকারী তাকে উত্যক্ত করে আসছে বলে বিষয়টি তখন স্বীকার করে সে।
লম্পট অফিস সহকারীর শাস্তি দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইউএনও অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে অশান্তি আরও বেড়েছে। আপোষ-মিমাংসা করার জন্য এলাকার এবং সুন্দরগঞ্জের অনেক মাতবর চাপ ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমরা গরিব মানুষ। ন্যায় বিচার পাব কি না সন্দেহ হচ্ছে।
মেয়ের বাবা বলেন, মেয়ের ফোনে ম্যাসেজ দিয়েছে আল আমিন। বিচারের আশায় গত ৮ সেপ্টেম্বর তারিখে অভিযোগ দিয়েছে আমার মেয়ে। এখনও বিচার পাইনি। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হুমকি-ধমকিসহ খুবই চাপ দিচ্ছে আমাদের। ঘটনার দিন থেকে লজ্জায় মাদরাসা যাচ্ছে না মেয়েটি। আমরাও বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না তাদের ভয়ে।
গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, ওই মাদারাসাটি আল আমিনদের নিয়ন্ত্রণে চলে। অন্য কারও কোনো পাত্তা নেই ওখানে। কারণ হলো ওর আপন সহোদর বড় ভাই ওখানকার সুপার। আরেক আপন সহোদর বড় ভাই সহকারী সুপার। এছাড়াও আরও একাধিক পদে আছেন তাদের আপনজন। সে কারণে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না কেউ। এ ধরণের ঘটনা আল আমিনের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিক ধর্ষণের ঘটনাও ঘটিয়েছেন আল আমিন মিয়া।