স্টাফ রিপোর্টারঃ ঈদবাজারে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে বেড়েছে সেমাই বেচাকেনার পরিমাণ। সেমাই প্রস্তুতকারকেরা বলছেন, প্রতিবছর দেশে ঈদের সময় সেমাইয়ের চাহিদা বাড়ে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদের মৌসুমেও সেমাইয়ের ভালো বেচাকেনা হবে বলে আশা তাদের।
সেমাইকে সাধারণত উৎসবকেন্দ্রিক পণ্য মনে করা হয়। কিন্তু সারা বছরই বাসাবাড়ির ছোটখাটো নানা আয়োজনে এই পণ্যের কদর থাকে। তবে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, সেমাই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় দুই ঈদের সময়।
বাজারে লাচ্ছা ও চিকন দুই ধরনের সেমাই পাওয়া যায়। এর মধ্যে সাধারণত লাচ্ছা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি থাকে। আগে বাজারে সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি খোলা সেমাইয়ের প্রাধান্য থাকলেও এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কজাত সেমাই বেশি বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
গাইবান্ধার শাহিন আলম জানালেন, প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক দিন আমার বাসায় সেমাই রান্না হয়। এ ছাড়া যেকোনো বিশেষ উপলক্ষে কিংবা বাসায় কোনো মেহমান এলে অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে সেমাইও পরিবেশন করা হয়।
দেশে সেমাইয়ের বাজার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সেমাই প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে সেমাইয়ের বার্ষিক চাহিদা ২০ থেকে ২৫ হাজার টন। অর্থমূল্যে এই বাজার প্রায় ২০০ কোটি টাকার। আর গত বছরের তুলনায় এ বছর সেমাইয়ের চাহিদা অন্তত ১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিগুলো।
বনফুল কোম্পানি ১৯৮৯ সাল থেকে সেমাই উৎপাদন করছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময় পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখার ওপর জোর দিয়েছি। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকের আস্থা পেয়ে আসছি।
প্রাণ কোম্পানি বাজারে লাচ্ছা ও খোলা উভয় ধরনের সেমাই বিক্রি করে। প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) তোষন পাল জানান, দেশে সেমাইয়ের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশের বেশি পূরণ করছে বিভিন্ন ব্র্যান্ড। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও এখন ভালো ব্র্যান্ডের সেমাই বিক্রি হচ্ছে।