শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গোবিন্দগঞ্জে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি রাস্তার গাছ কর্তন সাঘাটায় ক্যামেরার জন্য বন্ধুকে হত্যা সেফটি ট্যংক থেকে লাশ উদ্ধার বন্ধু গ্রেফতার গোবিন্দগঞ্জে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পলাশবাড়ীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত ব্রীজ রোড থেকে রেলের চোরাই লোহা বিক্রির সময় আটক ৩ কারাগারে নারী হাজতিকে নির্যাতন প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি গোবিন্দগঞ্জে ইজিবাইক চালক দুলা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি সুন্দরগঞ্জে আগুনে পুড়ল ২০ লাখ টাকার সম্পদ হলফনামায় তথ্য গোপন করায় ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল কারাগারে অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে ফেলায় নির্যাতন

ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত গাইবান্ধার নারী শ্রমিকরা

ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত গাইবান্ধার নারী শ্রমিকরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার দিগন্ত জুড়ে নজর কাড়ছে ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত। কৃষকের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের এ ক্ষেতে আশানুরূপ ফলন পেতে সার-কীটনাশক প্রয়োগসহ আগাছা পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক ও নারী কৃষাণীরা। মৌসুমের শুরু থেকেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ইরি-বোরো চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে তারা।
গাইবান্ধায় কৃষকের স্বপ্ন পরিচর্যায় ব্যস্ত নারী কৃষাণীরা গতকাল শুক্রবার গাইবান্ধার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। তবে নারী কৃষাণীরা শ্রম মূল্যেও বৈষম্য শিকার হচ্ছে। কৃষাণী কমেলা বেগম ও আনোয়ারা বেওয়া অভিযোগ করে বলেন, একজন পুরুষের মজুরী ৪০০ টাকা, আর মহিলাদের মজুরী দেয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা। এ বৈষম্য থেকে পরিত্রাণ চায় নারী শ্রমিকরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষক জলিল, সোলায়মান ও তসলিম উদ্দিন বলেন, চলমান আবহাওয়ার বিরূপ প্রক্রিয়া না ঘটলে গত বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্গাচাষি জহির উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেনসহ আরো অনেক কৃষক জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সার, ডিজেল ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বোরো আবাদ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।
গাইবান্ধা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন, উপজেলার নিচু এলাকার কৃষকরা সেচ পাম্পের সাহায্যে জলাবদ্ধ বিলগুলোর পানি নিষ্কাশন করে বোরো আবাদ করায় গতবারের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণকে কখনো মাঠ পর্যায়ে দেখা যায় না। তারা যদি কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিতেন তাহলে অধিক ফলন উৎপাদন করা সম্ভব হতো।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com