শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সাদুল্লাপুরে আগাম আলু চাষে বাম্পার ফলনের আশাবাদী কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আলুর গাছ মোটা তাজা হয়েছে। রোগ বালাই কম, তাই বিভিন্ন দিক বিচার করে ধারণা করা হচ্ছে আগাম আলুর বাম্পার ফলন হবে। বাজারে আগাম আলুর চাহিদা থাকায় তা বেশী দামে বিক্রি হবে। এতে করে লাভও ভালো হবে বলে একাধিক কৃষক জানান।
কম সময়ে বেশী লাভের আশায় প্রতি বছর সাদুল্লাপুরের ফরিদপুর, ধাপেরহাট, ইদিলপুর সহ ১১টি ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে কৃষকরা আগাম সবজির পাশাপাশি আগাম আলুর চাষ করে থাকে। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ফরিদপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী জানায়, বৃষ্টি পাত কম হওয়ায় এ বছর আগাম আলুতে তেমন খরচ হয়নি। আশা করি ফলন ও ভালো হবে। বাজার যদি (প্রতিকেজি) ৫০/৬০ টাকা পাওয়া যায় তাহলে বেশি লাভ হবে।
উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি অফিসার ফরিদুল ইসলাম, ধাপেরহাট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার রুহুল আমিন মন্ডল ও ইদিলপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার রানা মিয়া বলেন, এ বছরে তাদের ইউনিয়ন গুলোতে ৩/৪ হেক্টর করে জমিতে আগাম আলুর চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক কৃষক ফসল সংগ্রহ করে বাজারে প্রতি কেজি ৭০/৮০ টাকায় বিক্রিও করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলায় প্রতিবছর ৬৫/৭০হেক্টর জমিতে আগাম ক্যারেজ সেভেন জাতের আলু চাষ হয়ে থাকে যার ফলন শতাংশ প্রতি১.৫/২ মণ হয়ে থাকে। কৃষকরা সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আগাম আলু বীজ রোপণ করে । রোপনের ৫৫/৬০ দিন পর ফসল সংগ্রহ করে বাজারজাত করা যায়।