শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ বিয়ের দাবিতে অনশন শুরুর ৩৬ ঘণ্টা পর প্রেমিক মহিন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে তরুণীর। আর এই বিয়েতে নির্ধারিত ৪ লাখ টাকা মোহরানার মধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয় তরুণীকে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহিনুর ইসলাম।
এর আগে, গত সোমবার রাতে ইউনিয়নের শিমুলবাড়িয়া গ্রামে প্রেমিক জুটির বিয়ের কার্যাদি সম্পাদর করা হয়।
গত রোববার সকালে শিমুলবাড়িয়া গ্রামে প্রেমিক মহিন মিয়াকে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন তরুণী। গত সোমবার রাত পর্যন্ত তিনি অনশন অব্যাহত রাখেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিমুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাদি মিয়ার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মহিন মিয়ার সঙ্গে কিছুদিন আগে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। এরপর দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি মেয়েটি মহিন মিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। গত রোববার সকলে মহিন মিয়ার বাড়িতে আসেন তরুণী। এসময় বিয়ের দাবি করলে সটকে পড়েন মহিন মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন। তবুও বাড়ির অবস্থান ছাড়েনি মেয়েটি। কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে বাড়ির আঙ্গিনায় বিয়ের দাবি নিয়ে ৩৬ ঘণ্টা অনশন করেন তিনি। পরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে গত সোমবার রাতে কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে পড়ানো হয় দুই যুগলের।
কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহিনুর ইসলাম বলেন, স্থানীয় রেজিস্ট্রার কাজী কামাল পাশা ও মৌলভী গোলাম রব্বানী এই বিয়ের কাজ সম্পাদন করেন। বিয়ের ৪ লাখ টাকা মোহরানার মধ্যে মেয়েকে নগদ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয় ছেলে পক্ষ।