শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার সবকটি নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপরে। গাইবান্ধায় বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-ঘাটের কারণে জনদূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বসতবাড়ি থেকে এখনও পানি সরে না যাওয়ায় গাইবান্ধা পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে তারা ঘরে ফিরতে পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে তারা গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করে মানববেতর জীবন যাপন করছে। জেলার অধিকাংশ এলাকা দীর্ঘদিন যাবত বন্যা কবলিত হয়ে থাকায় শ্রমজীবি মানুষরা অর্থ সংকটে পড়েছে। সেজন্য নি¤œবিত্ত পরিবার অধিকাংশ পরিবার ত্রাণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ জানান, সাত উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ১০৯টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, এদিকে বন্যায় জেলার সাত উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নের ৪২৪টি গ্রাম ও ২টি পৌরসভার ৫ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৭০টি। তাদের বেশীর ভাগই নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে এসে উঠছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৯৭টি। এছাড়া ১৪ হাজার ২১ হেক্টর আউশ ধান, আমন বীজতলা, রোপিত আমন, পাট ও শাকসবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে এবার বন্যায় ১টি গরু, ৩ হাজার ৭২০টি হাঁস-মুরগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ২৪৫ মে. টন চাল, ২১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।