বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহের চাপড়িগঞ্জ বাজারে রাজা পেপার মিলের বর্জ্য ইছামতি গজারি খালের পানি দূষণ হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া নদীর ঘোড়ামারা থেকে ইছামতি গজারি খালটি চলে গেছে দক্ষিণে বগুড়ার শিবগঞ্জের দিকে। চাপড়িগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চাপড়িগঞ্জ এস এম ফাজিল মাদরাসার কোল ঘেষে অবস্থান এই খালটির। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে দূষিত পানির দুর্গন্ধে ভুগতে হচ্ছে। এছাড়াও গত দেড় বছর থেকে এই খালের পানি কোন কাজেই ব্যবহার করতে পারছে না গোবিন্দগঞ্জ ও বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।
সরেজমিনে জানা যায়, ইছামতি গজারি খালের দুর্গন্ধযুক্ত কিছু পানি নিচু অঞ্চলে হালকা রাতে চলে যাচ্ছে। আর অনেক স্থানেই এই পানি জমে থাকছে। পানির দুর্গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকা যায়না এই খালের পাশে। বর্জ্য ও পানি পচে কালো বর্ণ ধারণ করেছে।
চাপড়িগঞ্জ এস এম ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু তালেব মন্ডল বলেন, দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা পড়ায় মনোযোগী হতে পারছে না। সবসময় জানালা বন্ধ রাখায় শ্রেণিকক্ষে অল্প আলোর কারণে দিনের বেলাতেই বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। ফলে পাঠদানে বিঘœ ঘটছে।
রাজা পেপার মিলের ব্যবস্থাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের প্রথমের দিকে মিল চালু করার সময় খালের পানি দূষিত হয়। এখন ইটিপি মেশিন ব্যবহার করায় আর খালে দূষিত পানি ছাড়া হচ্ছে না। বর্ষাকালেই খালে নদীর পানি চলে আসলে দূষিত পানি আর থাকবে না। এই খালের পানি পান করলে কোন গবাদিপশু মারা যাবে না।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, অতীতে তাদের ত্রুটি ছিল। এখন ঠিক হয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষ করেছি। তারপরও মিল কর্তৃপক্ষ যদি বর্জ্য ও দূষিত পানি খালে ছেড়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাম কৃষ্ণ বর্মন বলেন, খুব শীঘ্রই রাজা পেপার মিলে পরিদর্শনে যাবো। কোন অনিয়ম দুর্নীতি আমাদের চোখে ধরা পরলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।