শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ দুস্থ নারীদের উন্নয়নের জন্য ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় গোডাউন থেকে ভিজিডির চাল তুলে পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন টিটু গত ৬ মাস ধরে তা বিতরণ না করে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে। ফলে করোনাকালিন কর্মহীন দুস্থ অসহায় নারীরা চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দুঃস্থ ও অসহায় শারীরিক সক্ষম নারীদের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে ভিজিডি কর্মসূচী চালু করা হয়। এই কর্মসূচীর আওতায় তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু এ সব দুস্থ নারীদের অসহায়ত্বের বিষয়টি জানা সত্ত্বেও ইউপি চেয়ারম্যান করোনার অজুহাত দিয়ে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সামগ্রী ৬ মাস ধরে বিতরণ করছেন না। চেয়ারম্যানের এহেন কান্ডে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দুস্থ ও অসহায় নারী জোহরা বেগম ও কল্পনা বেগম বলেন, করোনার কারণে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। সরকার আমাদের খাদ্য সহায়তার জন্য ভিজিডির চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু সেই চাল দুস্থ ও অসহায় নারীদের মাঝে বিতরণ না করে চেয়ারম্যান রেখে দিয়েছেন। এটা অমানবিক। আমরা এখন খাদ্য সংকটে ভুগছি। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন টিটুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিডির চাল উত্তোলন করা হলেও বিভিন্ন কারণে তা বিতরণ করা হয়নি। খুব শিগগিরি চাল বিতরণ করা হবে।
ভিজিডির চাল বিতরণ না করার বিষয়ে পলাশবাড়ী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ভিজিডির চাল ফেরত নিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান এমন ঘটনা এর আগেও ঘটিয়েছেন। এতে সুবিধাভোগীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, হোসেনপুর ইউনিয়নে জানুয়ারী থেকে আজ পর্যন্ত ভিজিডির কোন চাল বিতরণ করেননি। তবে গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করেছেন। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত ওই ভিজিডির চাল শীঘ্রই ফেরত নিয়ে উপজেলার প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।