সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ আর এক দিন পরেই দেশজুড়ে শুরু হতে যাচ্ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। সেই উৎসবে স্বজনদের সঙ্গে শামিল হতে শত বাধা উপেক্ষা করে ভোগান্তিকে সঙ্গী করেই নিজের কর্মস্থল ছেড়ে নিজের বাড়িতে আসছে মানুষ। দারিদ্র্য পিড়ীত গাইবান্ধার লক্ষাধিক মানুষ জীবিকার তাগিদে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শিল্পাঞ্চল গুলোতে কাজ করেন । এদের অধিকাংশই তৈরি পোশাক শিল্প কারখানায় কাজ করায় ঈদের দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করতে এসব কর্মজীবী মানুষ দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকায় ফিরছেন।
গতকাল গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও পলাশবাড়ী টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন দুরপাল্লার বাস থেকে নামছে মানুষ । দীর্ঘ পথে যানজটে চরম ভোগান্তি সহ্য করে বাড়ি ফেরা মানুষের চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও মনে ছিল বাড়ি ফেরার আনন্দ ।
তাজুল ইসলাম নামে ঢাকা ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক জানান, দেড় হাজার টাকায় একটি টিকিট কেটেছিলাম । আমরা অল্প বেতনের চাকরি করি বেতনের প্রায় সবটুকু খরচ হয় ঈদে যাওয়া আসার সময় । তবুও বাবা মায়ের সাথে ঈদ করতে বাড়ি আসি ।
সুমাইয়া আক্তার নামে অপর এক যাত্রী জানান, ভ্যাপসা গরমের মাঝে যানজটে আটকা পড়ে চরম বিপাকে পড়েছিলাম । ছয় ঘন্টার পথ আসতে সময় লাগছে ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা ।
এদিকে যাত্রীর চাপ সামলাতে ও অতিরিক্ত অর্থের লোভে বাস চালক ও সহকারীরা অতিরিক্ত কাজ করছে । এতে করে বাড়ছে দূর্ঘটনার শঙ্কা । নামি দামী বেশ কয়েকটি পরিবহন নিরাপদ ওয়ার্ক সিডিউল মানলেও অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ার গাড়ীগুলোর চালকরা কোন বিশ্রাম না নিয়ে অতিরিক্ত কাজ করছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ রুটের এক বাস চালক জানান, ঈদের সময় বাড়তি আয়ের সুবিধা থাকে। যাত্রীর চাপ থাকায় ও চালক সঙ্কটের কারণে আমরা ওভার টাইম করি। অনেক সময় মালিক পক্ষ আমাদের বাধ্য করে । দূর্ঘটনার ঝুঁকি থাকলেও আমরা সতর্ক থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি ।