সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নেই জেলা প্রশাসকের অনুমোদন, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, অনুমোদন নেই ফায়ার সার্ভিসের, নেই কৃষি অফিসের ছাড়পত্র। কিছুই নেই তার পরেও গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবেই চলছে কৃষি জমিতে গড়ে উঠা অর্ধশত ইটভাটা। শুধু তাই নয় উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পুনতাউড় নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোল ঘেঁসে গড়ে উঠেছে মেসার্স লিপ্ত এন্ড আরিশা ব্রিকস্। প্রায় দুই বছর ধরে ওই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই ইট পোড়ানোর ফলে পরিবেশ দূষণসহ মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
মেসার্স লিপ্ত এন্ড আরিশা ব্রিকস্ এর স্বত্তাধীকারী মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে ভাটার কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। যার কারণে স্থানীয় লোকজন কিছু বলছেনা। সবাইকে ম্যানেজ করেই আমরা ভাটার কার্যক্রম চালাচ্ছি।
মূলতঃ অনুপযুক্ত চিমনী ব্যবহারের কারণে পরিবেশ দূষণের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। ইটভাটার চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে ছাই, ধূলা ও সালফার- ডাই-অক্সাইডসহ ক্ষতিকর গ্যাস। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া নিয়ম না মানা এসব ব্যবসায়ীরা ইট তৈরীতে কৃষি জমির ঊর্বর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়। ফলে একদিকে যেমন জমির শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে অন্যদিকে কমে যাচ্ছে আবাদী জমি।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অবৈধভাটা বন্ধে খুব শিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।