রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ করোনাসহ নানাবিধ কারনে প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সার্কাস। সে কারণে সার্কাস শিল্পী ও সার্কাসের পোষা পশু-পাখি সমুহ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। শিল্পীরা অনেকে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। পাশাপশি উপকরণগুলো পড়ে থাকার কারনে ধংস হয়ে যাচ্ছে। সার্কাস বন্ধ থাকার কারনে দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের। যার কারনে হাতেগনা কয়েকজন শিল্পী সার্কাসের পশু-পাখি ব্যবহার করে শহর বন্দেের চাঁদা আদায় করছে। গতকাল মঙ্গলবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের বিভিন্ন দোকানে এবং সড়কে পথচারিদের গতিরোধ করে চাঁদা আদায় করতে দেখা গেছে এক সোয়ারীসহ হাতিকে। টাকা না দিলে ছাড়ছে না দোকানদার ও পথচারিকে। কথা হয় হাতির সোয়ারী ফরমান আলীর সাথে। তিনি বলেন সে ছোট খেকে সার্কাসে হাতি দিয়ে খেলা দেখাতেন। দীর্ঘদিন ধরে সার্কাস বন্ধ থাকায় পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন করতে হচ্ছে। সে কারনে হাতি নিয়ে বের হয়েছে। হাতির খাবার জন্য এবং কিছু রোজগারের আশায় এ কাজ করছি সোয়ারী। তিনি বলেন দিনে প্রায় ৪০০ হতে ৫০০ টাকা রোজগার হয়। যা দিয়ে কোনমতে সংসারের চালানো যায়। তবে প্রশাসনের দাবি হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা আইনসিদ্ধ নয়। এটি অন্যায় এবং প্রতারণা।