সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লাটশালা চর নুরানী তালিমুল কোরআন হিফজুল মাদ্রাসার জায়গা নিয়ে দু পক্ষের মালিকানা দাবির মুখে সৃষ্ট জটিলতায় অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে। মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থী বের করে দেয়ায় স্থানীয় জনগণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
‘সরেজমিনে জানা গেছে, গত ৩ বছর পূর্বে লাটশালা চর নূরানী তালিমুল কোরআন হিফজুল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন ওই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানে ছেলে আতিকুর রহমান। মাদরাসাটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। এ বছরে শিশু শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ১০৩ জন শিক্ষার্থীর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মাদ্রাসার পাশেই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আতিকুর রহমান তার ক্রয়কৃত জমিতে একটি ৩০ হাত লম্বা টিনসেড ঘর উত্তোলণ করে আবাসিক হিসেবে পাঠদান শুরু করেন। বর্তমানে ৪ জন শিক্ষক লেখাপড়ার কাজে নিয়োজিত। নতুন ঘরে ৩ দিন যাবত লেখাপড়া চালানো হলে গত বৃহস্পতিবার সকালে একটি কুচক্রী মহল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতিতে কোমলমতি আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসা ঘর থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসির মনে ক্ষোভ বিরাজ করে। মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বলেন আমরা কোরআনে হাফেজ হতে চাই। হাফেজী মাদরাসা নিয়ে কলহ চাই না। তাই এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সকলকে রক্ষার অনুরোধ জানান। শিক্ষার্থী আলামিন,আখি, সাজেদুল, রহিম বাদশা, শাহজাহান, রিয়াদ হালিম, ছকিনা, মুজাইয়ানা, তোতা মিয়া, রিপন, সীমা, শাকিল, শামীম, সাইদুলসহ সকল শিক্ষার্থী জানান, আবাসিক ঘর উত্তোলণ করায় আমাদের পাঠদানের সুবিধা হয়েছে। আমরা রাতেও কোরআন শিখতে পারি। লাটশালার চরের বাসিন্দা ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি শামছুল হক জানান, জমি সংক্রান্ত কোন জটিলতা নাই। অহেতুক প্রতিপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করতে চায়। ক্রয়কৃত নির্ভেজাল জমিতে চলমান প্রতিষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে চলবে এটাই কামনা করেন তিনি। অভিভাবক সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমাদের চরের ছেলে মেয়েরা সুন্দরভাবে লেখাপড়া করছে। এখন তারা রাস্তা ঘাটে সালাম বিনিময় করে এবং আদবের সাথে চলাফেরা করে। এটা খুব ভাল লাগে।এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোন চক্রান্ত করা ঠিক হবে না। প্রতিষ্ঠানের পাশেই বসবাস করেন সুলতান মিয়া। তিনি জানান, মাদ্রাসার জমিটা ছিল আমার। আমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আতিকুর রহমানের কাছে বিক্রি করেছি। এই জমি নিয়ে কারও দাবি করা ঠিক হবে না। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাহালম জানান, মাদরাসার জায়গা নিয়ে একটি মহল বিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত হলে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানা করার চেষ্টা করেছি। প্রতিপক্ষ এ প্রস্তাবকে অগ্রাহ্য করে। ফলে বাধ্য হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। জমি নিয়ে কোন দাঙ্গা হাঙ্গামা না করে আদালতের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য পুলিশ উভয় পক্ষকে আহবান জানান। পরিচালক মাহালম আরো জানান,একটি চলমান প্রতিষ্ঠান চক্রান্ত করে যেন বন্ধ না করতে পারে এজন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন করি।