সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ তিস্তার চরবাসির দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নির্মাণ হচ্ছে সেই রামডাকুয়া সেতু। গত ৮ মাসে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বাড়ছে। আগামী বন্যার আগে সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী। নির্মাণ কাজের ৫০ ইতোমধ্যে ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় কথা রয়েছে। ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকৌশলী প্রযুক্তি লিমিটেড ৯৬ মিটার লম্বা পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করেছে। নির্মাণ কাজে ব্যয় হবে ৫ কোটি ৫৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার রামডাকুয়া মহল্লার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার শাখা নদীর উপর নির্মাণ করা হচ্ছে সেতুটি। উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুরসহ পাশ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামবাসী প্রতিদিন রামডাকুয়ার শাখা নদী দিয়ে পায়ে হেঁটে, নৌকা যোগে কষ্ট করে উপজেলা শহরে আসা যাওয়া করে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে ২০১২ সালের তৎকালীন সংসদ সদস্য কর্ণেল কাদের খাঁন ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ারিক ডিজাইন ইস্টিমেট ছাড়াই একটি সেতু নির্মাণ করে ছিল। কিন্ত ২০১৫ সালে বন্যার স্রোতে সেতুটি ভেসে যায়। এরপর থেকে চরবাসি কষ্ট করে চলাফেরা করছিল। ২০১৯ সালে এলজিডি সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে।
বেলকা চরের ব্যবসায়ী মফিদুল হক মন্ডল জানান এই প্রথম উপজেলার বৃহত্তম সেতুটির কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণ কাজ দূরত্ব চলছে সেতুটি নির্মাণ হলে চর অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরর্ণ হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান এবার অগ্রীম ও দীর্ঘমেয়াদী বন্যার কারনে বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে ঠিকারদার প্রতিষ্ঠান আবারও পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। আশা করছি অতিদ্রুত কাজ শেষ হবে। তবে গার্ডার নির্মাণ কাজ চলছে।