শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামের আলারুল ইসলামের শিশু পুত্র মারুফ হত্যাকারিদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার শান্তিরাম কালিতলা বাজারে ঘন্টা ব্যাপি হাজারও নারী পুরুষ এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালিন সময় বক্তব্য রাখেন, শিশু মারুফের পিতা আনারুল ইসলাম, মাতা মমতাজ বেগম, দাদা ইদ্রিস আলী, ছাত্রলীগ নেতা মাজেদ মোল্লা, আওয়ামীলীগ নেতা বিল্পব খন্দকার দুলু, ইউপি সদস্য মিঠু মিয়া, মমিনুল ইসলাম, শিক্ষক আনারুল ইসলাম প্রমূখ। বক্তাগণ বলেন, মারুফ ১০ পাড়া কুর-আনের হাফেজ। তাকে বাড়িতে থেকে ডাকে নিয়ে নিজ ঘরের মধ্যে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে তাহেরসহ তার সহযোগিরা। মুল আসামি গ্রেফতার গ্রেপ্তার হলেও এখনও অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। অবিলম্বে আসামি গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবি জানান মানববন্ধনে উপস্থিত জনতা। মারুফ শান্তিরাম হাফিজিয়া খানা হতে ইতিমধ্যে ১০ পাড়া কুরআন মুখন্ত করেছে। চলতি শিক্ষা বর্ষে সে শান্তিরাম পরাণ কছর আলী দাখিল মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
শান্তিরাম গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে তাহের মিয়ার সাথে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে মারুফের বিরোধ ছিল। ওই মোবাইল ফোনের বিরোধকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার জুম্মার নামায পর তাহের মারুফকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় মারুফের চাচাতো ভাই আলামিন তার সাথে ছিল। তাহের মারুফকে তার ঘরের ভিতরে ডেকে নিয়ে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বিষয় বাক্বিতন্ডার একপর্যায় গলা চেপে ধরে। কিছুক্ষণ পর মারুফ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার সাথে থাকা তার চাচাতো ভাই আলামিন ঘর থেকে দৌড়ে ছুটে গিয়ে মারুফের দাদা-দাদিকে খবর দেয়। দাদা-দাদি এসে দেখে মারুফ মারা গেছে। এনিয়ে শিশুর পিতা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পুলিশ ইতিমধ্যে মুল আসামি তাহেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছে। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই রাশেদুল ইসলাম জানান, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।