রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গ্রাম-বাংলার সোনাতন পদ্ধতির সকল ঐতিহ্য এখন বিলুপ্ত প্রায়। যান্ত্রিক এই যুগে শারীরিকভাবে কর্মক্ষম হয়ে পড়ছেন বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণি মানুষজন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলার জমিনে এখন কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। অথচ কৃষকরা প্রশিক্ষিত না হওয়ায়, তা বাস্তবায়ন কষ্ট হচ্ছে। ইতিমধ্যে কৃষিতে চারা রোপন, ধান কাটামাড়াই, জমি হাল চাষ করণ যন্ত্রের ব্যবহার ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে। কিন্তু যথাযথ ব্যবহার এবং নিয়ম-কানুন জানা না থাকায় কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছে। যন্ত্রের সাহায়ে জমি চাষ করলেও তা সমান করার জন্য গরুর হালের প্রয়োজন হচ্ছে। গরুর হাল না থাকায় মানুষকে এখন মই টেনে সমান করতে হচ্ছে চাষের জমি। যন্ত্রের ভিরে হারিয়ে গেছে গরুর হাল। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন দেখা যাচ্ছে যন্ত্র চালিত পাওয়ার টিলালের মাধ্যমে জমি চাষ করলেও তা সমান হচ্ছে না। সে কারণে দিনমজুরের মাধ্যমে সমান করে নিতে হচ্ছে। এতে করে দ্বিগুন খরচ হচ্ছে। দক্ষিণ গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া জানান, মেশিন দিয়ে জমি চাষ করলে অনেক সমস্যা। জমির কোনা সমূহ চাষ করা যায় না। পাশাপাশি জমি সমান হয় না। অপরদিকে জমি সমান না হলে পানি জমে থাকে না। সে জন্য দিন মজুর দিয়ে জমি সমান করে নিতে হয়। এতে করে এদিকে হালের মেশিনকে টাকা দিতে হয় এবং দিনমজুর দিয়ে সমান করে নিতে হয়। তাতে করে দ্বিগুন খরচ হয়। পাওয়ার টিলার চালক জিন্নাহ মিয়া জানান, মেশিনের মাধ্যমে জমি চাষ করলে জমির কোনা সমূহ চাষ করা সমস্যা হয় এবং মই দেয়া যায় না। তাই গরুর হাল দিয়ে বা দিনমজুরের সাহাষ্যে মই দিতে হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, যন্ত্রের সাহায্যে চাষাবাদ করতে গেলে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনি একটু অসুবিধাও রয়েছে। তবে সুবিধার পরিমান অনেক বেশি। অল্প সময়ের মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই আমাদের মাঝে সুফল বয়ে আনবে।