সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ভরা তিস্তা এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর প্রস্থ এখন ৩০০ফিটে পরিনত হয়েছে। যা পারাপার করতে হয় নৌকায়, আর বাকীটা পায়ে হেঁটে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, শান্তিরাম ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী খনন, ড্রেজিং, সংরক্ষণ,শাসন ও মেরামত করা হয়নি। সে কারনে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পলি জমে রাক্ষুসি অগভীর তিস্তা নদী এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। নদীতে আর ছলছে না নৌকা, মাঝি মাল্লা, দেখা যায় না জেলেদের। গোটা তিস্তা জুড়ে এখন সবুজের সমারহ। তিস্তার কড়াল গ্রাসে জমি জিরাত হারিয়ে হাওয়া পরিবারগুলো এখন পুনরায় ফিরে এসে চাষাবাদ শুরু করেছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হতে কুড়িগ্রামের উলিপুর পর্যন্ত তিস্তার প্রস্থ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। অথচ নৌকায় পার হতে হয় মাত্র ৩০০ফিট। বেলকা চরের একরামুল হক জানান তিস্তা নদী এখন মরে গেছে। শুধুমাত্র বন্যার সময় তিন হতে চার মাস চরে পানি থাকে। বছরের বাকী সময় নদী শুকে যায়। মুলনদী অসংখ্য খাল ও নালায় পরিনত হয়েছে। চরে এখন নানাবিধ ফসলের আবাদ হচ্ছে। কোন সময় দুটি শাখা নদী আবার কোন সময় একটি নদী নৌকায় পার হতে হয়। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, পলি জমে তিস্তা নদী এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। নদীর নাব্যতা ফিরে আনতে হলে নদী ড্রেজিং, খনন ও সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে তিস্তানদী এক সময় হারিয়ে যাবে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, নদী খনন, ড্রেজিং করা ব্যয়বহুল বিষয়। এটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া সম্ভব নয়। তবে নদী সংরক্ষণ, শাসন ও বাঁধ সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।