রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জের ভন্ড ফকির রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাকিবের ভন্ডামীর শেষ কোথায়? নিজেকে অনেক বড় আধ্যাতিœক পরিচয় দিয়ে বহুমুখীভাবে প্রতারণা করে আসছে দীর্ঘ দিন যাবৎ। এলাকার অধিকাংশ নারীপুরুষ তাকে চেনে ফকির হিসেবে। ভিআইপি ভাবে ব্যবসা করতে নিজের বাড়িতে চেম্বার খুলে বসেছেন খোদ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর লাহিরী খামার গ্রামে। এ বাড়ি যেন জ্যোতিষশাস্ত্রের দপ্তর। এটি আবার সব মুসকিল আসান দপ্তর নামেও পরিচিত। কিন্তু নাম যাই হোক না কেন, কাজ নিয়ে রয়েছে ভয়াবহ সব তথ্য ও প্রমান। এখানে মূলত মানুষের ধর্মীয় গোঁড়ামি আর অন্ধ বিশ্বাসকে পুঁজি করে রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাকিব নিজেকে বিখ্যাত জ্যোতিষবিদ দাবি করে দু’হাতে খালি করে চলেছেন নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার শেণী পেশার মানুষের পকেট। আবার সম্মানের ভয়ে মুখ না খুললেও অল্প বয়সী বহু নারী তার হাতে বিপদজনক শিকারে পরিনত হচ্ছে। তথ্য প্রমানসহ রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি আসলে একজন ভন্ড প্রতারক। প্রতারনাই তার আসল ব্যবসা। প্রতারনার ফাঁদে ফেলে তিনি সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। তার এ ব্যবসার বৈধতার পিছনে রয়েছে একটি মহলের ইন্ধন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড় অঙ্কের লটারী, চাকুরী পাইয়ে দেয়া, মামলায় জেতানো, ভালোলাগার মানুষ ও পরস্ত্রীকে বশে আনা, বিদেশ যেতে বাধা দুর করা, হারানো জিনিষ পাইয়ে দেয়া, ব্যবসা-বানিজ্যে উন্নতি, যাদু-টোনা কাটিয়ে দেয়া, জ্বীন-পরির আঁচড় থেকে মুক্তি দেয়া, বাড়িঘর বন করা, রোগ নির্ণয়সহ সব ধরনের সমস্যার সমাধান দেন এই ভন্ড ফকির রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাকিব ফকির। এক কথায় এমন কোন সমস্যা নেই যার সমাধান নেই তার কাছে। সাদা কাপড়ে ঘেরা চেম্বারে বসে এসব দর্শনার্থীর কাছ থেকে একের পর এক সমস্যার কথা শুনে হাতে তাবিজ কবজ তুলে দেন। বলা হয় ১০০ পার্সেন্ট গ্যারান্টি। সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রতি সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার শতাধিক সমস্যাপীড়িত নারী-পুরুষ সাক্ষাৎ করতে আসেন এই ভন্ড সাধু বাবার দপ্তরে। জানা যায়, প্রথম দর্শন ফি ৫০ টাকা। কাজের ধরন হিসাবে তাবিজ-কবজের মুল্য নেন ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। ভন্ড রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাকিবের কথার অঙ্গি-ভঙ্গি দেখে বিশ্বস্ত মনে করে এই প্রতারনার ফাঁদে পড়ে অনেক নারী-পুরুষ দু’হাত খালি করে বাড়ি ফেরেন। জানা গেছে, এই ভন্ড ফকির রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাকিব দক্ষিন শ্রীপুর লাহিরী খামার গ্রামের মৃত আঃ জলিলের পুত্র।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান জানান, বিষয়টি শুনেছি। ব্যবস্থা নেয়া হবে।