সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ তিস্তার ধূ-ধূ বালু চর ভরে উঠছে সবুজের সমারহে। চরাঞ্চলের পরিবারগুলো ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ। পরিজন নিয়ে চরের বালুর সাথে মিতালী করেছে পরিবারগুলো। বন্যা, নদী ভাঙনসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে তালতরকারি চাষাবাদ করে সংসারের হাল ধরতে শুরু করেছে চরবাসি। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর চরাঞ্চল এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে বালু চর আলু, মরিচ, বেগুন, মুলা, টমেটো, পিঁয়াজ, আদা, রসুন, কপি, শশা, সিম, গাজর, লাউ, কুমরা, করলা, বাদাম, ডাল, সরিষা, গম, ভুট্টাসহ নানাবিধ শাক সবজিতে ভরে উঠেছে। অপরদিকে মুল নদীর স্রােতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। চরাঞ্চলের শাক সবজি ও তরিতরকারি ইতিমধ্যে কাঁচা বাজারে অনেকটা চাহিদা পুরন করছে। তিস্তায় জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফিরে এসে বাপ দাদার জমি জমায় চাষাবাদ শুরু ককরেছে।
তারাপুর ইউনিয়নের লাঠশালা চরের আবুল কাশেম মিয়া জানান তিনি ৩ বিঘা জমিতে বেগুন, আলু, পিঁয়াচ ও মরিচ চাষাবাদ করেছে। তিনি আশা করছেন খরচ বাদে ৬ মাস সংসার চালানোর পরও ৫০ হাজার টাকা আয় হবে। যা দিয়ে তিনি পরবর্তী সময়ে সংসার চালানোর জন্য ব্যয় করবেন। তিনি বলেন কৃষকরা ৬ মাসের আয় দিয়ে ১ বছর সংসার চালায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান কৃষি ক্ষেত্রে তিস্তার চরাঞ্চল এখন সম্ভাবনাময় জোন হিসেবে পরিনত হয়েছে। পলিজমে তিস্তার চরাঞ্চল বিভিন্ন ফসল আবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগি হিসেবে পরিনত হয়েছে। তিস্তার চর এখন সবুজে ভরে উঠেছে। কাঁবা বাজারে অনেকটা চাহিদা পুরুন করছে চরের শাকসবজি।