শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বুড়াইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ কাটাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, উক্ত বিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে যোগদানের পর থেকে প্রধান শিক্ষক আফরুজা বেগমের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও বৈষম্যমূলক কর্মকান্ডে মানসম্মত শিক্ষার চরম অবনতি ঘটেছে। গত বছর প্রধান শিক্ষক সরকারি কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের সিদ্ধান্তে বিদ্যালয় মাঠের দুইটি কাঠাল, একটি গাব ও একটি আমের গাছ কর্তন করেন। যার মূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা। এছাড়া গাছের কিছু অংশ ফজলুল কবীর নামে এক সহকারি শিক্ষক তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক ক্লাশ ফাঁকিবাজ সহকারি শিক্ষক উক্ত ফজলুল কবীরকে বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট করেছেন।
অভিযোগে আরও প্রকাশ, বিদ্যালয় চলাকালিন সময় প্রায়ই অফিসের কথা বলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক ফজলুল কবীর বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। আরও কয়েকজন শিক্ষক সময়ের আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় ধ্বস নেমেছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মাঝে ঝগড়া ও রেশারেশি নিত্যদিনের ঘটনা।
এক সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল সুনাম বয়ে আনে। যার কারণে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শেণি পর্যন্ত ৭/৮ শ’ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করতো। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অর্ধেকও নেই। বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন ১২ জন শিক্ষক। ভালো ফলাফলের জন্য সরকারিভাবে বিদ্যালয়টিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া চালু করা হয়। কিন্তু শিক্ষকদের উদাসিনতার কারণে মানসম্মত লেখাপড়া না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ধ্বস নেমেছে। এঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসি ৮১ জন বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে বলেন, কমিটি ও এলাকাবাসির নিকট থেকে জেনে নেন। স্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষক মোশারফ হোসেন ও আব্দুর রউফ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান শিক্ষকের সামনেই বলেন, সরকারি অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় মাঠের গাছ কাটা হয়েছে। শিক্ষকদের মনোমালিন্য ও ঝগড়ার বিষয়ে তারা বলেন বিদ্যালয়ে ভালো খাবারের আয়োজন করে মীমাংশা করা হয়েছে। আপোষের বিষয়ে অনেক অভিযোগকারি বিষয়টি জানেন না বলে প্রশ্ন করা হলে তারা কিছু বলতে পারেননি। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, চারটা গাছ কাটা সত্য নয়। ২/১ টি গাছ কাটা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনেক কথা আছে দেখা করে সাক্ষাতে বলবো। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশিকুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের মাঝে মনোমালিণ্য হয়েছিল। ঘটনাটি মীমাংশা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে কি হলো জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।