সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ এখন শীতকাল। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাদ্য তালিকায় এক অনন্য নাম পিঠা। পিঠা বাংলার সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মিষ্টি, ঝাল, টক নানা পদের মুখরোচক এসব পিঠার নাম শুনলেই জিভে পানি আসে। বাঙালি সংস্কৃতিতে অতিথি আপ্যায়নে আজও পিঠার প্রচলন দেখা যায়, তবে তা ঘরে ঘরে। সারা বছর পিঠার প্রচলন থাকলেও হেমন্তে যখন কৃষকের ঘরে নতুন আমন ধান ওঠে তখন পিঠা, পায়েসের আয়োজন যেন বেড়ে যায় কয়েকগুন। তবে শীতের সঙ্গে পিঠার সম্পর্ক নিবিড়। শীতের মিষ্টি রোদের উষ্ণতা নেয়ার সঙ্গে মজার সব পিঠা খাওয়ার আনন্দই যেন আলাদা। আর হরেক রকম পিঠা তৈরী করে যদি আনুষ্ঠানিকভাবে সবার মধ্যে পরিবেশন করা হয়, তখন তা অন্যরকম এক উৎসবে পরিণত হয়। ঠিক তেমনই এক ব্যতিক্রমী ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছেন স্থানীয় এমপি ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। গতকাল ডঃ জেড আই চৌধুরী এগ্রিকালচার ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রাতভর প্রায় একশ মহিলা নকশী পিঠা, ভাপা পিঠা, ক্ষীরে ভরা পাটি সাপটা পিঠা, তেলে ভাজা পিঠা, ঝাল পিঠা, তাল পিঠা, পুলি পিঠাসহ প্রায় ১০ প্রকারের পিঠা তৈরী ও তা সহস্রাধিক মানুষের মাঝে পরিবেশন করা হয়। পিঠা উৎসবের বিশেষ অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফ এধরণের ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য এমপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পিঠা আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। উৎসবের প্রধান অতিথি ও আয়োজক ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, পিঠা বাঙ্গালি সাংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।