সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫০টি ঘর সহ ভিটেমাটি নদীগর্ভে হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে শতাধিক পরিবার। তবুও যেন বাপদাদার ভিটে ছেড়ে যেতে মন যেন চায় না তাদের। ভাঙনের পর আবার আশায় বুক বাঁধে ওরা। চর জাগলে আবার ফিরে যায় ওই দুর্গম চরাঞ্চলে। বাঁধে আবার স্বপ্নের ঘর। ভাঙা আর গড়ার মধ্য দিয়ে এভাবেই চলে ওদের জীবন। গেল বছর ধরে তিস্তা নদীর ভাঙনের মাত্রা কম থাকলেও ভারী বর্ষণে এবছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চর এলাকায় তিস্তার ভাঙনে আবাসন প্রকল্পের ৫০টি ঘর সহ ভিটেমাটি নদীগর্ভে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে অতিকষ্টে জীবনজাপন করছে। খবর পেয়ে গত শনিবার উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সঙ্গে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মন্জু মিয়াসহ ইউপি সদস্যগণ।
এদিকে, পানি কমে যাওয়ায় নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত ও ঘুর্ণি। আর তীব্র স্রোত ও ঘুর্ণিতে ভেঙে তছনছ হচ্ছে কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার ও ভাটি কাপাসিয়ার চরাঞ্চলের মানুষের বসতভিটা ও পাটখেত। আর এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ভাঙনে ভাটি কাপাসিয়ার আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫০টি ঘরসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া জানান,বাদামেরচর এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫০টি ঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাসকরছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জনান ইতমধ্যে ভাঙ্গন কবলিত তিনটি ইউনিয়নে ৫ মেট্রিক টন চাল ভূক্তভোগিদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।