রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তার ভাঁঙ্গন অব্যাহত থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হরিপর ইউনিয়নের মানুষ। কোনো ভাবে ভাঁঙ্গন মোকাবেলা করতে না পাড়ায় তারা নিজেস্ব অর্থায়নে বাঁশের পাইলিং দিয়ে নদী ভাঙ্গন রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। গত এক মাসে ভাঁঙ্গনে দুই শতাধিক বসত বাড়িসহ হাজার হাজার হেক্টর জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঁঙ্গনের মুখে পড়েছে আরও হাজার বসতবাড়ি এবং আবাদি জমি। স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যার ধকল সেরে উঠতে না উঠতেই উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার লাগামহীন ভাঁঙ্গন হরিপুরের পাড়াসাদুয়া ও মাদারীপাড়া বাসীকে নাকাল করে তুলেছে। আতঙ্কিত করে তুলেছে কাইম অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে। ভাঁঙ্গনের কারণে প্রতিনিয়ত ঘরবাড়ি সরিয়ে অন্যত্র সরে যাওয়া যেন চরবাসীর জন্য অসহনীয় কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরেও তিনি ২ বার নদী ভাঁঙ্গনের স্বীকার হন আজিজল হক জানান তার পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি আর নদী ভাঁঙ্গন মোকাবেলা করতে পারছেন না। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলেন, জন্মগত ভাবে নদী পাড়ের মানুষ আমি নিজে। আমি জানি নদী ভাঁঙ্গনের কী কষ্ট ও জ্বালা যন্ত্রণা। নদী ভাঁঙ্গন রোধে নদী ড্রেজিংসহ সরকারের বড় পদক্ষেপ ছাড়া আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব নয়। হরিপুর ইউনিয়ন আ-লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু জানান গত এক মাসে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিলেও কোন প্রশাসনকে অবগত করা স্বত্ত্বেও তারা আসেনি। তিনি আরো জানান হরিপুর ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটিও পাড়াসাদুয়া মৌজার এক কিলোমিটার অংশ নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় চর হরিপুর, চর মাদারীপাড়া, মাদারীপাড়া, পাড়াসাদুয়া বাসীর কাশিমবাজার হাট যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তা হলেও রাস্তটি নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় যাতায়াতের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী নিজেস্ব অর্থায়নে বাঁশের পাইলিং দিয়ে নদী ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে নদী শাসন রোধ করার জন্য মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে।