রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জে নির্মাণাধীন পাঁচপীর-চিলমারী তিস্তা সেতু। সেতুর দক্ষিণ পাশের পশ্চিম দিকে যেতেই চোখে পড়ে বেরি বাঁধ। বাঁধটি উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ী ৩নং ওয়ার্ডের অংশে পড়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ বাঁধটি সমতল জমি থেকে এক-দেড় ফুট উঁচু। ফলে তিস্তার পানি সামান্য বাড়লেই বেরি বাঁধের ওপর দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধে কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবারকে জলমগ্ন হয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। জলবদ্ধতার কারণে নষ্ট হচ্ছে ৯০০ বিঘা জমির ফসল। ফলে দুভোর্গে পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত তিস্তা নদীর উজানে বোচাগাড়ী এলাকায় ভাঙন রক্ষার্থে নির্মিত হয়েছে বেরি বাঁধ। এ বাঁধের ওপর প্রায় হাটু পানি। গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকে চলাচলের রাস্তাগুলোও ডুবে একাকার। অনেকের বাড়ির চারপাশে পানি। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানির নিচে রয়েছে। ধানের চারা গাছগুলো পাট জাগের মতো পচে নষ্ট হচ্ছে। এসব এলাকায় দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার ফলে কচুরিপানাও জন্ম নিয়েছে। দূর থেকে বিলের মতো দেখা গেলেও কচুরিপানার নিচেই রয়েছে ওই এলাকার কৃষকদের স্বপ্ন।
উপজেলার চন্ডিপুর, হরিপুরসহ তিনটি ইউনিয়নের কিছু এলাকা নিয়ে বোচাগাড়ী গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর খানেক আগে গ্রামটিকে নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বাঁধের মাঝে পানি বের করে দেওয়ার কোনো নালা /রেগুলেটর নেই। এতে গ্রামের প্রবেশ করা তিস্তা বা বৃষ্টির পানি বের হয়ে যায় না। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের।
জিল্লুর রহমান নামে এক কৃষক বলেন, বাঁধের ওপর দিয়ে পানি আসে। কিন্তু বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে রোপন করা আমন ধান সব পানির নিচে নষ্ট হচ্ছে। এলাকায় বন্যা না হলেও আমরা পানিবন্দী। বাঁধে একটি রেগুলেটর বা পানি বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই। আমন না হলে আমরা কি খাবো ?
এদিকে জলাবদ্ধতার বিষয়টি স্বীকার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খান বলেন, বোচাগাড়ি এলাকায় নদী শাসনের আওতায় পড়েছে। এটি তিস্তা সেতু প্রকল্পের অংশ। সার্ভে করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলে পানি নিষ্কাশনের জন্য নদী শাসন অংশে একটি ইউ ড্রেন স্থাপন করা হবে।