সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দফায় দফায় বন্যা ও বৃষ্টি বাদলে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যাওয়া চরের রাস্তাঘাট মেরামত, সংস্কার ও পুর্ননির্মাণ না করায় যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পড়েছে। সে কারনে চরে বসবাসরত পরিবারগুলো মানবেতর জীবন করছে। বিশেষ করে চরে উৎপাদিত পর্ণ্য সামগ্রী বাজারজাত করতে যানবাহন ব্যবহার করতে পারছে না যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায়। চরে এখন ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শান্তিরাম, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত। প্রতি বছর বন্যায় এবং বৃষ্টি বাদলে চরের ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট মেরামত না করায় দিন দিন সেগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন চরে ঘুরে ফিরে দেখা গেছে চরের পরিবারগুলো পায়ে হেঁটে বাশের সাঁকো, হাটু পানি, কোমর পানি, পাড়ি দিয়ে দিনের পর দিন এক চর থেকে অন্য চর পারি দিচ্ছে। বেলকা চরের মফিদুল হক মন্ডল জানান প্রতিবছর চরের রাস্তা বন্যায় ধসে এবং খুঁয়ে যায়। সে জন্য চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর। তাছাড়া চরের যেসব ফসল আবাদ করা হয়, তা বাজারে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দূরহ্ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিবছর চরের রাস্তাঘাট সমুহ মেরামত একান্ত প্রয়োজন। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান রাস্তাঘাট মেরামত করার জন্য এখন কারিখা ও কাবিটা প্রকল্প নেই বললে চলে। শুধু মাত্র কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাঘাট মেরামত করা হচ্ছে। কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে সকল রাস্তাঘাট মেরামত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন চরের রাস্তাঘাট প্রতিবছর মেরামত দরকার। কারন বন্যায় প্রতি বছর চরের রাস্তাঘাট খুঁয়ে যায়। সে কারনে চরের রাস্তাঘাট প্রতিবছর মেরামত জরুরী। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান প্রকল্প না থাকায় চরের রাস্তাঘাট মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।