রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর বেলেরভিটা গ্রামের গৃহবধূ আদর রানীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারনে ছেলে ও স্বামীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকালে। আদর রানী ওই গ্রামের মোনারুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের জননী। মোনারুলের আরও এক স্ত্রী রয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে গৃবধূর বড় ছেলে আইয়ুব আলী (৩৫) মা ও বাবার সাথে খারাপ আচারণ করে আসছিল। ইতিপূর্বে কয়েক বার মা ও বাবাকে মারপিঠ করেছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর স্বামী তার মেয়ে মনিরা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সকালে বাড়ি ফিরে এসে দেখে ঘরের মেঝে তার স্ত্রী পড়ে রয়েছে। স্বামীর চিৎকারে পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখতে পায় আদর রানী মারা গেছে। এলাকাবাসির দাবী মানষিক ভারসাম্যহীন ছেলে আইয়ুব আলী এবং স্বামীর কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।
স্বামী মোনারুল ইসলাম জানান, তিনি মেয়ের বাড়িতে রাত যাপন করে। সকালে বাড়িতে এসে ঘরের মেঝেতে তার স্ত্রীকে পড়ে থাকতে দেখে। তার দাবী মানষিক ভারসাম্যহীন ছেলে মাকে গলা চেপে ধরে হত্যা করেছে।
ছেলে আঈয়ুব আলী জানান, সে তার মাকে হত্যা করেনি।
মেয়ে মনিরা বেগম জানান, বাবা রাতে তার বাড়িতে ছিল। সকালে উঠে সে বাড়ি চলে যায়। কিছুক্ষণ পর মার মৃত্যুর খবর পায়। তার দাবি ভাই আইয়ুব আলী মাকে হত্যা করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর ছেলে একজন মানুষিক রোগী। এর আগে মা বাকে মারপিট করেছিল। তবে তার ধারনা মৃত্যুটি স্বাভাবিক নয়।
ওসি এম এ আজিজ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লাশের সুরুতহালে দেখে গেছে ঘারে একটি কালো চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে ও স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।